ঘুষ গ্রহণ ও মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় সাবেক ডিআইজি প্রিজন্স পার্থ গোপাল বণিকের ৮ বছরের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। আজ রেববার ঢাকার চার নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে গত ২৭ ডিসেম্বর মামলায় দুদক এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের এ তারিখ ঠিক করেন। রায় ঘোষণাকালে ডিআইজি পার্থকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
দুদকের পক্ষে মোশাররফ হোসেন কাজল এবং ডিআইজি পার্থের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী এহেসানুল হক সমাজী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন।
গত ২৪ নভেম্বর মামলাটিতে আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন ডিআইজি পার্থ। এর আগে গত ১৬ নভেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। চার্জশিটভূক্ত ১৪ সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
গত ৫ জুন পার্থ গোপাল বণিককে জামিন দেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ইকবাল হোসেন। এরপর গত ২ সেপ্টেম্বর পার্থ বণিকের জামিন বাতিল করেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে তাকে গত ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। সেই আদেশ অনুযায়ী, গত ১৯ সেপ্টেম্বর পার্থ গোপাল বণিক বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন। পরে মামলাটি ৫ নম্বর আদালত থেকে বদলি করে ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৮ জুলাই সকাল থেকে পার্থ গোপালকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকেলে তার গ্রিন রোডের বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সহকারী পরিচালক মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরদিন আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত বছর ২৪ আগস্ট একই কর্মকর্তা ডিআইজি পার্থের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। গত বছর গত ৪ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। পার্থ গোপাল বণিক ২০১৬ সালের ৮ আগস্ট চট্টগ্রামের ডিআইজি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।