হিমেল আহমেদ, ইটনা (কিশোরগঞ্জ) থেকে : কিশোরগঞ্জের বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, দানবীর, কৈবর্তরাজ গুরুদয়াল সরকারের নাতিঅবিনাশ বাবু মৃত্যুবরণ করেছেন। সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ইটনা উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের কাঠৈর গ্রামের নিজ বাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। মৃত্যুকালে তিনি ১ ছেলে ও ৬ মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
তৎকালীন একটি অন্ধকারাচ্ছন্ন ও পশ্চাৎপদ জনপদের অধিবাসী হয়েও গুরুদয়াল সরকার স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি আলোকময় সমাজের। এর জন্য তিনি শিক্ষার মশাল জ্বালাতে প্রচণ্ড সাহসে সুদীপ্ত ও সুদৃঢ় চিত্তে দান করেছিলেন তাঁরই উপার্জিত ধন-সম্পদ। এই দানবীরের বদান্যতায় এবং তাঁরই হাত ধরে ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আজকের সুপ্রতিষ্ঠিত গুরুদয়াল সরকারি কলেজ।
এই কলেজে পড়াশুনা করে যারা দেশবরেণ্য হয়েছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য প্রফেসর ড. আ. মান্নান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য প্রফেসর ড. আলাউদ্দিন আহমেদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য প্রফেসর ড. দূর্গাদাস ভট্রাচার্য্য, প্রাক্তন সেনা প্রধান ও সাবেক মন্ত্রী লে. জে. (অব.) নূরুদ্দীন খান, সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউদ্দিন আহমেদ, মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুল মতিন, মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য বীরত্বের জন্য বীরবিক্রম খেতাবে ভূষিত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মো. সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
মৃত্যুর আগে মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তার নাতি অবিনাশ বাবু কিশোরগঞ্জে বড় বড় নেতা থাকতে গুরুদয়াল সরকারি কলেজটি বিশ্ববিদ্যালয় না হওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছিলেন।