নেত্রকোনায় স্ত্রী নাসরিন আক্তারকে গলা কেটে হত্যার দায়ে মিলন মিয়া (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নেত্রকোনা জেলা দায়রা জজ মো. শাহজাহান কবির আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডাপ্রাপ্ত মিলন মিয়া জেলার বারহাট্টা উপজেলার বৃ-কালিকা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নেত্রকোনা পৌরশহরের সাতপাই এলাকার একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন।
নিহত নাসরিন আক্তার শিবপুর উপজেলার তেলিয়া গ্রামের নাজিম উদ্দিনের মেয়ে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে নরসিংদীর একটি ফ্রিজের দোকানে চাকরি করার সময় মিলন মিয়ার সঙ্গে নাসরিন আক্তারের পরিচয় হয়। পরে একপর্যায়ে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
একই সালে ১০ জানুয়ারি মিলন মিয়া ও নাসরিন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। বিয়ের পর মিলন মিয়া জানতে পারে যে, তার স্ত্রী নাসরিন একজন দেহ ব্যবসায়ী। সেই থেকে তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে শুরু করে। এ নিয়ে প্রায় সময়ই স্ত্রী নাসরিন স্বামী মিলন মিয়াকে মারধর করত।
এ অবস্থায় স্বামী মিলন মিয়া পরিকল্পনা করে স্ত্রী নাসরিন আক্তারকে প্রথমে ছুরি দিয়ে বুকে একাধিক আঘাত করে এবং পরে তাকে গলা কেটে হত্যার পর লাশ একটি ধানক্ষেতে ফেলে রাখে।
এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সোলায়মান হক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে নাসরিন আক্তারের স্বামী মিলন মিয়াকে একমাত্র আসামি করে একই বছরের ৮ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।
এদিকে আদালত সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. নুরুল কবীর রুবেল এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ইফতেখার উদ্দিন আহাম্মদ।
পিপি ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ জানান, মামলার রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এ রায় সমাজে মানুষকে আইনের প্রতি আরও শ্রদ্ধাশীল করে তুলবে।