কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ প্রভাবশালী ১০ সদস্য।
কমিটির আহ্বায়ক সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে দলবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকা, মনোনয়ন দেওয়ার নামে দলের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়া, কমিটিতে বিএনপি-জামায়াতের লোকজনকে অন্তর্ভুক্তিসহ নানা অভিযোগ এসে তারা পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পাকুন্দিয়া বঙ্গবন্ধু চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এই ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম রেনু অভিযোগ করেন, গত কোরবানীর ঈদের (ঈদুল আযহা) আগের দিন জেলা কমিটিকে ম্যানেজ করে আহ্বায়ক হন অ্যাড. সোহরাব। কিন্তু তিনি দলের এমপি নূর মোহাম্মদের সাথে কোনো যোগাযোগ না করে ৭১ সদস্যের মনগড়া কমিটি করেন। কমিটিতে বিএনপি-জামায়াতসহ বিতর্কিত লোকজনকে রাখা হয়। তিনি নিজের দলের বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। তাই এ কমিটি থেকে তারা পদত্যাগ করেছেন।
পদত্যাগকারী প্রভাবশালী সদস্যরা হচ্ছেন- পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম রেনু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মো. হুমায়ুন কবীর, জেলা শ্রমিক লীগের উপদেষ্টা আতাউল্লাহ সিদ্দিক মাসুদ, পাকুন্দিয়া পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম আকন্দ, নারান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মুছলেহ উদ্দিন,চন্ডিপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দিন, মো. শাহাব উদ্দিন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম, মো. সাহাব উদ্দিন এবং শাহাব উদ্দিন।
সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগকারী আওয়ামী লীগ নেতারা, বর্তমান বিতর্কিত কমিটি বাতিল করে অবিলম্বে দলের নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনা করে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি অ্যাড. সোহরাব উদ্দিনকে আহ্বায়ক করে গত কোনবানীর ঈদের পরদিন এক সদস্য বিশিষ্ট পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ। পরে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের পর থেকে এই কমিটি বাতিল দাবিতে আন্দোলনে নামেন বর্তমান এমপি নূর মোহাম্মদের সমর্থিত নেতাকর্মীরা। কমিটির পক্ষে বিপক্ষে দুই প্রভাবশালী নেতা-কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বার বার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।