কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে পৌর শহরের পলতাকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত সোহেল মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। সে ঐ গ্রামের মজিদ মিয়ার ছেলে।
নিহতের বাবা জাকির হোসেন জানান, ৫-৬ মাস আগে তারা শহরের পলতাকান্দা গ্রামে সোহেল মিয়ার বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। শিশু নদী তাদের একমাত্র সন্তান। কয়েকদিন ধরে নদীর মাকে অনৈতিক প্রস্তাব দিচ্ছিল সোহেল। এতে সাড়া না পেয়ে নদীকে হত্যার হুমকি দিতে শুরু করে সে।
মঙ্গলবার রাতেও সোহেল কুপ্রস্তাব দেন। এতে তিনি ব্যর্থ হয়ে রাতেই নদীকে মুড়ি খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে তুলে নিয়ে যান। নদীর মা তার পিছু পিছু গিয়েও মেয়েকে খুঁজে পাননি। পরে এলাকার মসজিদের মাইকে বিষয়টির ঘোষণা দেওয়া হয় এবং আত্মীয়-স্বজনদের খবর দেন ওই নারী। তবে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও নদীর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
রাতে বিষয়টি ভৈরব থানা পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ এসে পলতাকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে ময়লা-আবর্জনা ও কচুরিপানার ঝোপ থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, ধারণা করা হচ্ছে গলায় গামছা বা কাপড় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে কীভাবে মারা গেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বাড়ির মালিক সোহেলকে আটক করা হয়েছে।