muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আইন আদালত

সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ, শুনানি ৩১ মার্চ

কারাগারে থাকা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের (বর্তমানে বহিষ্কৃত) সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ ও মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় চার্জশিট আমলে গ্রহণ করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েস এ চার্জশিট আমলে গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে মামলাটি ঢাকার ছয় নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বদলি করে আগামী ৩১ মার্চ চার্জ গঠনের শুনানির দিন ঠিক করেছেন।

এদিন আসামি পক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর সিনিয়র অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী শুনানি করেন। আর দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল শুনানি করেন।

আদালত চার্জশিট আমলে নেওয়ার পর আসামি পক্ষে আইনজীবীরা জামিন আবেদনের শুনানি করতে চাইলে বিচারক তা বদলি কোর্টে হবে বলে জানান। বিচারক প্রথমে ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে মামলাটি বদলির নির্দেশ দেন। তখন দুদক এবং আসামি পক্ষের আইনজীবীরা ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালত বাদে অন্য কোর্টে মামলাটি বদলির অনুরোধ করেন। পরে বিচারক ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বদলি করেন।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর থেকে কারাগারে থাকা সম্রাটের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে দায়ের করেন। মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আনা হয়। মামলায় ওই বছর ১৭ নভেম্বর আদালত সম্রাটের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলাটি তদন্তের পর ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর মামলার বাদী চার্জশিট দাখিল করেন। কিন্তু সম্রাট ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর থেকে কারা নিয়ন্ত্রণাধীনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি থাকায় এতদিন তাকে আদালতে হাজির না করায় মামলার কাজ এগোয়নি।

মঙ্গলবার এ মামলার শুনানি উপলক্ষে সম্রাটকে অ্যাম্বুলেন্সে করে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার শুনানিকালে সম্রাট আদালতে চেয়ারে বসে ছিলেন। তাকে কাঠগড়ায় ওঠানো হয়নি।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান চলায় আসামি সম্রাট ঢাকা থেকে কুমিল্লা পালিয়ে যান। এরপর ওই বছর ৬ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে উভয় আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাট জিজ্ঞাসাদের কাছে অস্ত্র ও মাদক আছে বলে জানায়। এরপর রাজধানীর কাকরাইলস্থ ভূইয়া ম্যানশনস্থ অফিস ও বাসার বেড রুমের বিছানার নিচ থেকে তার দেখানো মতে একটি অবৈধ ৭ দশমিক ৬৫ বোরের বিদেশী পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি, ২টি লাঠি এবং রুমের ভেতরে একটি লাগেজ থেকে ১৯ বোতল বিদেশী মদ, ১ হাজার ১৬০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৪ প্যাকেট তাস উদ্ধার হয়।

এরপর তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলা হয়। যে মামলাগুলো বিচারাধীন রয়েছে। এ ছাড়া পরবর্তী সময়ে এ আসামির বিরুদ্ধে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে ১৯৫ কোটি টাকা পাঁচারের অভিযোগেও একটি মামলা হয়।

Tags: