কিশোরগঞ্জে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বুধবার (৩০ মার্চ) বিকালে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন মহিনন্দে ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উন্মোচন করেন তিনি।
এ সময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ প্রমুখসহ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের নির্মাণ উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় যোগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
সভায় চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তা ও পেশাজীবীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, শিক্ষা ও কর্ম অঙ্গাঙ্গিভাবে সম্পৃক্ত। শিক্ষার্থীরা এই সেন্টার থেকে সহজযোগ্য প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অন্যদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ফলে আমাদের সামনে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশ্ববাজারে দীর্ঘমেয়াদি টেকসই অবস্থান তৈরি করতে হলে মৌলিক গবেষণা ও এনিমেশনের বিকল্প নেই। সফটওয়ারে পাশাপাশি হার্ডওয়ার শিল্পের বিকাশ ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার ও জালিয়াতির কারণে অনেক চ্যালেঞ্জের জন্ম দিয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তথ্য-প্রযুক্তিবিদদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
করোনাকালে ই-কমার্স, বিশেষ করে অনলাইনে বেচাকেনা, ব্যবসার নামে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা জনগণের সাথে প্রতারণা করেছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ করে ই-কমার্স ও অনলাইন ব্যবসার প্রসার অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি ক্রেতাদেরও লোভনীয় অফার দেখে হুমড়ি খেয়ে পড়ার মানসিকতা পরিহার করারও আহ্বান জানান।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, বাংলাদেশ ডিজেল প্লান্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. রফিকুল ইসলাম, স্বাগত বাংলাদেশ হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, প্রায় পাঁচ একর জমিতে ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে ৭তলা বিশিষ্ট শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার ভবনটি। ২০২৩ সালের মধ্যে শেষ হবে এর নির্মাণ কাজ। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এ প্রকল্প বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্মিত হবে।