মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ- অভিনেত্রী পারভীন সুলতানা দিতির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার বাদ জোহর দ্বিতীয় জানাযা শেষে তার ইচ্ছা অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার দত্তপাড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মার পাশে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০ টায় বাংলাদেশ ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন, বিএফডিসিতে দিতির প্রথম জানাযা হয়। সেখানে সহকর্মীরা তার মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে নিজ বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁর নিয়ে যাওয়া হয় তার মরদেহ।
এফডিসির জানাজায় উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, নায়ক আলমগীর, রুবেল, ওমর সানিসহ আরো অনেকে। অভিনেত্রীদের মধ্যে শেষ বিদায় জানাতে বিএফডিসিতে যান চম্পা, খালেদা আক্তার কল্পনা, নায়িকা নাসরিন, দিলারা ইয়াসমিন, রাশেদা চৌধুরী প্রমুখ। এ ছাড়া কাবিলা, হেলাল খান, আহম্মেদ শরিফ, মিজু আহম্মেদসহ বিভিন্ন পরিচালক-প্রযোজক ও আপনজনরা বিএফডিসিতে আসেন দিতিকে দেখতে।
এফডিসিতে জানাজা শেষে দিতির মেয়ে লামিয়া বলেন, ‘আমার মা অনেক কাজপাগল একজন মানুষ ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই দেখেছি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজে ব্যস্ত থাকতেন। কাজপাগল মানুষদের অনেক ভালোবাসতেন। এফডিসিতে আপনাদের সাথে কাজ শেষ করে বাসায় ফিরে আপনাদের নিয়ে গল্প করতেন। তিনি পরিবার ও আপনাদের সমানভাবে ভালোবাসতেন। তিনি যে অসুস্থ তা আমরা কখনো বুঝতে পারিনি। এমন সময় এসে আমরা টের পেলাম যখন আমাদের কিছুই করার নেই।’
এরআগে রোববার বিকাল ৪টা ৫ মিনিটে বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম সেরা অভিনেত্রী পারভীন সুলতানা দিতি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর।
জনপ্রিয় অভিনেত্রী পারভীন সুলতানা দিতি ১৯৬৫ সালের ৩১ মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র উদয়ন চৌধুরী পরিচালিত ‘ডাক দিয়ে যাই’। তবে ছবিটি শেষ পর্যন্ত মুক্তি পায়নি। তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ছিল আজমল হুদা মিঠু পরিচালিত ‘আমিই ওস্তাদ’।
সাংসারিক জীবনে দিতি দুই সন্তানের জননী ছিলেন। এরা হলেন লামিয়া চৌধুরী আর ছেলে দীপ্ত।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/21-03-2016/মইনুল হোসেন