নির্ধারিত সময়ে হচ্ছে না কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন। আগামী ১৬ মের মধ্যে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা থাকলেও নির্বাচন কমিশন বলছে সেখানে ভোট হবে জুন মাসে।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) আউয়াল কমিশনের প্রথম কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
ইসি সচিব বলেন, চলতি মাসের শেষের দিকে কমিশনের দ্বিতীয় সভায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এবং অন্যান্য স্থানের কিছু পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। কুমিল্লা সিটি নির্বাচন করা হবে আগামী ২০ জুনের মধ্যে।
তিনি বলেন, যেহেতু কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ইভিএমে হবে। তাই ইভিএমের জন্য প্রস্তুতির বিষয়ে আছে। সেজন্য এটি ১৬ মের মধ্যে করা যাচ্ছে না। এজন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে এটি জুন মাসে (২০ জুনের মধ্যে) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন না হলে সেখানে মেয়র দায়িত্ব পালন করবেন নাকি প্রশাসক বসবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই বিষয়টি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় দেখবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় চাইলে প্রশাসক বসাতে পারে।
ইসি সংশ্লিষ্টরা জানান, আইন অনুযায়ী প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর হয় নির্বাচিত করপোরেশনের মেয়াদ। সেই হিসেবে কুমিল্লা সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২২ সালের ১৬ মে। আর ভোটগ্রহণ করতে হয় মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে। সে হিসাবে গত বছরের ১৬ নভেম্বর থেকে এ সিটি নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয়ে গেছে।
দুটি পৌরসভাকে একীভূত করে ২০১১ সালে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গঠন করা হয়। ওই বছরই প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২০১৭ সালে এসে এ সিটির পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি ইউপিকে অন্তর্ভুক্ত করে আয়তন বাড়ানো হয় প্রায় তিনগুণ। এতে দেখা দেয় সীমানা জটিলতা। বর্তমানে এই সিটিতে ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ড রয়েছে।
সিটি করপোরেশন গঠনের পর থেকে কুমিল্লায় মেয়র পদে রয়েছেন মনিরুল হক সাক্কু। গত নির্বাচনে এই সিটিতে ১০৩টি কেন্দ্র ছিল। আর ভোটার ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৬ জন।