ঢাকা ওয়াসার পানিতে গন্ধ থাকার অভিযোগটি বেশ পুরোনো। এ নিয়ে রাজধানীতে একাধিকবার আন্দোলনও হয়েছে। এবার নিজের বাসার পানিতেও গন্ধ রয়েছে বলে জানালেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডুরা) আয়োজনে ‘নগরবাসীর চাহিদা-ঢাকা ওয়াসার সক্ষমতা’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
ওয়াসার এমডি বলেন, রাজধানীর নয়াপল্টনে তার বাসায় সরবরাহের পানিও কিছুটা গন্ধযুক্ত। তবে এতে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, শীতলক্ষ্যার চরম দূষিত পানি পরিশোধনের পরও তাতে অ্যামোনিয়ার গন্ধ থেকে যায়। তাই কিছু এলাকার পানিতে এ গন্ধ থাকে।
ডায়রিয়ার প্রকোপে বিষয়ে তাকসিম এ খান বলেন, আইসিডিডিআরবি আমাদের ৯টা জায়গার লিস্ট দিয়েছে। যেসব এলাকায় ডায়রিয়া বেশি। ল্যাব টেস্ট করে সেসব এলাকার পানিতে কোনো ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়নি। তারপরও সাবধানতা হিসেবে সে জায়গাগুলোতে আমরা ক্লোরিন বাড়িয়ে দিয়েছি।
ওয়াসার উৎপাদন সক্ষমতা নিয়ে তাকসিম বলেন, ঢাকায় পানির মোট চাহিদা ২১০ কোটি থেকে ২৫০ কোটি লিটার পর্যন্ত হয়। আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা ২৭০ কোটি লিটার। তাই রমজানে কোথাও পানির সংকট হবে না।
তিনি বলেন, দেশের সার্বিক জিডিপির ৪৫ ভাগ ঢাকা থেকে আসে। ঢাকায় যদি পানি সংকট হয় তার প্রভাব সরাসরি জিডিপিতে পড়বে।
ঢাকায় ক্রমাগত মানুষ বেড়ে যাওয়া সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে ওয়াসা এমডি বলেন, ঢাকায় কাগজে-কলমে মানুষের সংখ্যা এক কোটি ৭০ লাখ। আমরা ২ কোটি মানুষের কথা মাথায় রেখে সেবা দেই।