পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রথম ধাক্কা সামলানো গেছে। এই ধাক্কায় অনেক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সরকার এসব কৃষকদের পাশে দাঁড়াবে। ইতিমধ্যে সরকারি সহায়তা প্রশাসনের কাছে পৌঁছেছে।
শনিবার দুপুরে সুনামগঞ্জের ‘দেখার হাওরে’র ঝুঁকিপূর্ণ আসানমারা বেড়িবাঁধ পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম, শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নূর হোসেন প্রমুখ।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, কোন কৃষক কী পরিমাণে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তা জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ মিলে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের খুঁজে সহায়তা দেবেন। তবে কোনো অনিয়ম যাতে না সে ব্যাপারে সরকার সর্তক অবস্থানে রয়েছে। হাওরে স্থায়ী ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা সম্ভব না। এ বছর প্রধান কাজ ধান ঘরে তোলা। পরের বছর বাঁধের কাজ আরও ভালোভাবে করতে হবে। হাওরে স্থায়ী বাঁধ সম্ভব নয়। প্রতিবছরই কিছু কাজ করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, আগামী দুদিন বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা আছে। এ সময় হাওর রক্ষা বাঁধগুলোকে তদারকিতে রাখতে হবে। একইসঙ্গে দ্রুত ধান কাটতে হবে।