প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পুলিশের কাছে গেলে ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে-পুলিশকে এ আস্থা অর্জন করতে হবে। তাদের সমাজের নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। প্রয়োজনে হেল্পডেস্কেও আইনি সেবা দিতে হবে।
রোববার (১০ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি গৃহ হস্তান্তর এবং নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজারবাগ প্রান্তে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ লাইনস, পীরগঞ্জ থানা ও মাগুরা সদর থানা সরাসরি অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিল। এ ছাড়া বাংলাদেশ পুলিশের সব থানা ও সব পুলিশ লাইনস প্রান্ত ওয়ানওয়ে সংযুক্ত থেকে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি থানায় স্থাপন করা হয়েছে নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক। দেশের ৬৫৯টি থানায় একটি বিশেষ কক্ষ নির্মাণ অথবা প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে।
সার্ভিস ডেস্ক পরিচালনার জন্য একজন সাব-ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে প্রশিক্ষিত নারী পুলিশ সদস্যদের পদায়ন করা হয়েছে। সার্ভিস ডেস্ক কর্মকর্তা থানায় আগত নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের সমস্যা মনোযোগসহকারে শুনে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করে থাকেন।
মুজিববর্ষের সূচনালগ্ন ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে সার্ভিস ডেস্ক পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়। এ পর্যন্ত ১ লাখ ৮১ হাজার ৪৭৬ নারী, ৩২ হাজার ২৮৬ শিশু, ১ লাখ ৩৮ হাজার ৩২৫ পুরুষ এবং ১১ হাজার ৮১ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অর্থাৎ মোট ৩ লাখ ৬৩ হাজার ১৬৮ জনকে সেবা প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও, মুজিববর্ষ উদ্যাপনের লক্ষ্যে বছরব্যাপী নানা কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল পুলিশ। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে সেসব পরিকল্পনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন না হওয়ায় কিছু অর্থ বেঁচে যায়। সেই অর্থ দিয়ে গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ করে প্রধানমন্ত্রীর আবাসন কার্যক্রমে শামিল হয় বাংলাদেশ পুলিশ।