বহুল আলোচিত রমনা বটমূলে বোমা হামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুফতি শফিকুর রহমানকে কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে সাড়ে ৫টার দিকে তাকে কিশোরগঞ্জের দুই নম্বর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে তোলা হয়। পরে আদালতের বিচারক তাকে কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে হেলমেট ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে তাকে কিশোরগঞ্জ আদালতে হাজির করা হয়।
মুফতি শফিকুর রহমানের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের বাঁশগাড়ী পশ্চিম পাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম মরহুম মৌলভী শিশু মিয়া।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) রাতে ভৈরব থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে ঢাকায় নিয়ে যায় র্যাব। আজ বিকেলে তাকে ভৈরব থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০১ সালে রমনার বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার মামলায় মুফতি শফিকুর রহমান মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। এছাড়া ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায়ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তার বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। এসব মামলায় তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এ ছাড়াও সে ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলারও চার্জশিটভুক্ত আসামি।
র্যাব জানায়, রমনা বটমূলে হামলার পর ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত মুফতি শফিক আত্মগোপনে থেকে সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। এরপর নিজের নাম-পরিচয় পরিবর্তন করেন। আব্দুল করিম নাম ধারণ করে ২০০৮ থেকে নরসিংদীর একটি মাদরাসায় আত্মগোপন করেন তিনি। নরসিংদীর চর এলাকায় অবস্থিত একটি মসজিদে মাসিক পাঁচ হাজার টাকা বেতনে ইমামতির চাকরি নেন শফিক। ইমামতির আড়ালে তিনি মানুষের মাঝে ধর্মের নামে বিভ্রান্তিমূলক অপব্যাখ্যা প্রচার করতেন। কৌশলে মাঝে মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করতেন।