ঈদের আগে সাসেক প্রকল্পের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের তিনটি উড়ালসড়ক যান চলাচলের জন্য খুলে দিয়েছে সড়ক বিভাগ। যানজটপ্রবণ এলাকার ওই উড়ালসড়ক খুলে দেওয়ায় স্বস্তি ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
আজ সোমবার দুপুর ২টায় অনারম্বরভাবে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নাওজোড়, সফিপুর ও গোড়াই এলাকার তিনটি উড়ালসড়ক যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয় সড়ক বিভাগ। নতুন উড়ালসড়ক দিয়ে পারাপারে খুশি যাত্রী, চালক ও স্থানীয়রা।
কালিয়াকৈর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ বলেন, সফিপুর এলাকায় ফ্লাইওভার নির্মাণকাজ চলমান থাকায় রাস্তা সরু হয়ে প্রতিদিন যানজট সৃষ্টি হতো। এতে কালিয়াকৈরবাসীসহ যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আজ ফ্লাইওভার চালু হওয়ায় দীর্ঘ দিনের ভোগান্তির অবসান হয়েছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গাজীপুরবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
বাসচালক রুহুল আমিন বলেন, গোড়াই ও সফিপুর এলাকায় রাস্তা ও ফ্লাইওভার নির্মাণকাজ চলমান থাকায় এই পয়েন্টে প্রায় দিন যানজট হয়। এ ছাড়া সফিপুর বাজারটি সড়কের পাশে থাকায় এ অংশ দিয়ে স্বাভাবিক গতিতে গাড়ি চালানো কঠিন। এখন ফ্লাইওভার চালু হওয়ায় দ্রুত এ এলাকা অতিক্রম করা যাবে। ঈদের আগে এটি আমাদের জন্য খুশির খবর।
গাজীপুর সড়ক বিভাগের দাবি, ফ্লাইওভার তিনটি খুলে দেওয়ায় অন্য বছরের তুলনায় এবার ঈদের ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত অনেকটা স্বস্তিদায়ক হবে। ঢাকার সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের ২৩টি জেলার যোগাযোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা, ভোগড়া বাইপাস ও চান্দনা চৌরাস্তা। প্রতি ঈদে এসব সড়ক পথে ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রী ও চালকদের। যানজটে পড়ে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। যানজটের এ দুর্ভোগ কমাতে ২০১৯ সালে নাওজোড় ও সফিপুরে তিনটি উড়ালসড়কের কাজ শুরু হয়।
সাসেক প্রকল্প সুত্রে জানা গেছে, সাউথ এশিয়ান সাব-রিজিওনাল ইকোনোমিক কো-অপারেশন (সাসেক) প্রকল্পের আওতায় নাওজোড়, সফিপুর ও গোড়াই উড়ালসড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। ৮১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের নাওজোড় ফ্লাইওভার নির্মাণে ৫৮ কোটি টাকা আর ১২৬৯ মিটার দৈর্ঘ্যের সফিপুর ফ্লাইওভার নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১০৫ কোটি টাকা।
ঈদের ঘরমুখো মানুষের চাপ সামাল দিতে যানজট প্রবণ এলাকায় নির্মিত উড়ালসড়ক তিনটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিল সড়ক ও সেতু বিভাগ। নতুন তিনটি উড়ালসড়ক খুলে দেওয়ায় এবার ঈদে যানজটের আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন সাসেক-১-এর অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক কে এম নূরে আলম।
তিনি বলেন, ঈদ যাত্রায় দুর্ভোগ এড়াতে প্রকল্পের দুই-তিন মাস আগেই উড়ালসড়ক তিনটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কড্ডা, চন্দ্রাসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে সড়ক প্রশস্ত করা হয়েছে।