পালিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হলো না ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি টিটুর। শেষমেষ তাকে ধরা খেতেই হলো র্যাবের হাতে। টিটু কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়নের ভাসানিয়াপাড়া গ্রামের মো. ইসলামের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) ভোরে ঢাকার উত্তরখান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা।
র্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মো. শাহরিয়ার মাহমুদ খান মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গ্রেফতার টিটু কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় ২০০৫ সালের একটি ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি। সাজা থেকে বাঁচতে দীর্ঘ নয় বছর পালিয়ে ছিলেন তিনি। গ্রেফতার এড়াতে ঢাকার মিরপুর, উত্তরখানসহ বিভিন্ন এলাকায় ভ্যানে করে কাপড় ও সবজি বিক্রি করতেন। গোপনে খবর পেয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে কিশোরগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, বিয়ের আশ্বাসে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেন টিটু। এতে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেন কিশোরীর বাবা-মা। কিন্তু টিটু বিয়েতে রাজি হননি। পরে ২০০৫ সালের ১০ মে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর বাবা।
২০১৩ সালে কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ওই মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এরপর থেকে সাজা এড়াতে পলাতক ছিলেন তিনি।