তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, জ্ঞানভিত্তিক ও উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ ও ত্রিপুরা বিনির্মাণে নলেজ পার্টনার হয়ে কাজ করবে বাংলাদেশ-ভারত।
বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় হোটেল পোলো টাওয়ারে দুদিনব্যাপী (বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার) ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ আইটি বিজনেস সামিট’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মহান মুক্তি সংগ্রামে ঐতিহাসিক ভূমিকার জন্য ত্রিপুরার মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পলক বলেন, ভারত আমাদের অকৃত্রিম পরীক্ষিত বন্ধু। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয়কে অবশ্যম্ভাবী করতে যেমনই অবদান রেখেছিল ভারত, তেমনি বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নের পথ পরিক্রমায় ভারত এখন আমাদের উন্নয়ন সহযোগী।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সততা, মেধা আর সাহসিকতা দিয়ে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল ও ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত করেছেন। বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশের অভিযাত্রী।
তিনি আরও বলেন, উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশে এখন মানুষের জীবনযাত্রা অনেক সহজ, সুন্দর আর নিরাপদ। দেশে ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। ইন্টারনেটের ব্যবহার মূল্য কমিয়ে আনার সুফল পাওয়া যাচ্ছে।
বাংলাদেশে নতুন নতুন আইটি পার্ক গড়ে উঠছে। এগুলোতে ভারত ও বাংলাদেশ যৌথভাবে কাজ করে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। এ ছাড়া ত্রিপুরা সরকারের জেল, অগ্নিনির্বাপক, সংখ্যালঘু কল্যাণ এবং সমবায় দপ্তরের মন্ত্রী রাম প্রসাদ পাল, ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিয়কর্ণ কুমার ঘোষ, আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ, ত্রিপুরা সরকারের শিল্প বাণিজ্য ও তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তরের প্রধান সচিব পুনীত আগরওয়াল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।