মোটরসাইকেলে রাজধানী চষে বেড়ান তারা। খুঁজতে থাকেন টার্গেট। মূল টার্গেট সঙ্গে ব্যাগ থাকা রিকশা আরোহী। আচমকা ব্যাগ টান দিয়ে পালিয়ে যান।
পুলিশের চোখে মোটরসাইকেল চালক পাইলট আর ব্যাগ টান দেওয়া ব্যক্তি ঈগল। দুই চাকার মোটরসাইকেল বাহনটিই তাদের মূল অস্ত্র। বাইকে চড়ে রাজধানীর অলিগলি চষে বেড়ান তারা। খুঁজতে থাকে টার্গেট। সঙ্গে ব্যাগ থাকা রিকশা আরোহী দেখলেই টান মারেন আচমকা। ছিনতাই এদের মূল পেশা।
রোববার (০১ মে) মগবাজার ও মোহাম্মদপুরে অভিযান চালিয়ে চার ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৩৪ লাখ টাকা এবং ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেল।
গত বছরের ডিসেম্বরে এক সরকারি কর্মকর্তার কাছ থেকে ১১ লাখ টাকা এবং চলতি বছরের মার্চে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনকারী এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছিল এ চক্র দুটি।
গোয়েন্দারা বলছেন, একটি দলের মূলহোতা আশরাফুল ইসলাম টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। যে কোম্পানিতে চাকরি করতেন সেখানকার এক ট্রাক চালককে নিয়ে ২০১৯ সাল থেকে ছিনতাই করেন তিনি।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (গুলশান বিভাগ) মশিউর রহমান বলেন, আশরাফুল এক সময় নামকরা টেক্সটাইল কোম্পানিতে চাকরি করতেন। সেখানকার গাড়ির চালককে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন জিনিসপত্র আনা নেওয়া করতেন। সেই চালককে সঙ্গে নিয়েই ২০১৯ সালে থেকে নিয়মিত ছিনতাই করে আসছেন তিনি। একজন মোটরসাইকেল চালান, আরেকজন রিকশা থেকে ব্যাগ ছিনতাইয়ের কাজ করেন।
ছিনতাইকারী দলের অন্য সদস্যদের বেশিরভাগই বিভিন্ন পরিবহনের চালক। যে কারণে রাজধানীর রাস্তাঘাট তাদের চেনা।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশর অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার বলেন, ছিনতাইয়ের কাজে মোটরসাইকেল যে চালায় তাকে বলে পাইলট আর যে ছিনতাই করে তাকে তারা ঈগল বলে। প্রতিটি মোটরসাইকেলে একজন পাইলট ও একজন ঈগল থাকে।
পুলিশ বলছে, ছিনতাইয়ের বেশিরভাগ টাকা তারা খরচ করে মাদক সেবন এবং নানারকম ফূর্তিবাজিতে।