ডেঙ্গি ভাইরাস বাহিত এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ঝুঁকিপূর্ণ ৭ ওয়ার্ডে ১০-১২ মে বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। রোববার পাক্ষিক পর্যালোচনা সভায় এ নির্দেশনা দেন তিনি।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, বর্ষাকালে এডিস মশার বংশবৃদ্ধির সঙ্গে ডেঙ্গি সংক্রমণও বৃদ্ধি পায়। সেজন্য বর্ষা মৌসুম পুরোপুরি শুরু হওয়ার আগেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে আমাদের যে ৭টি ওয়ার্ডকে উচ্চ ও মধ্যম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেসব ওয়ার্ডে মশক নিয়ন্ত্রণ ও নিধন কার্যক্রমে আরও বেশি জোর দিতে হবে। তদারকি বাড়াতে হবে।
ডিএসসিসির জনসংযোগ বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়, জোরালো কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সেসব ওয়ার্ডে আগামী ১০ থেকে ১২ মে পর্যন্ত বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। জনসচেতনতা ছাড়া ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত দুরূহ বলে বৈঠকে অভিমত দেন তিনি। এ ছাড়া ডেঙ্গি ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করতে হলে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে হবে। তাছাড়া এডিস মশার প্রজননস্থল শুধু বাড়ির চারপাশ ও আঙিনায় নয়, বাড়ির অভ্যন্তরেও সৃষ্টি হতে পারে। সেজন্য জনসচেতনতার বিকল্প নেই। তাই এডিস মশার সংক্রমণ রোধ করতে হলে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে, তাদেরকে সচেতন করতে হবে।
প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বর্ষাপূর্ব জরিপ (প্রি-মনসুন সার্ভে) অনুযায়ী দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৮, ৪০ ও ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড উচ্চ এবং ১৩, ১৫, ২১ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডকে মধ্যম মাত্রার ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব ওয়ার্ডে এই বিশেষ চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে। অন্যান্য সময়ে নিয়মিতভাবে ৭ জন মশক কর্মী লার্ভিসাইডিং এবং ৬ জন মশক কর্মী এডাল্টিসাইডিং কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। কিন্তু এই বিশেষ চিরুনি অভিযানে সকালে ১৩ জন মশক কর্মী লার্ভিসাইডিং এবং বিকেলে ১৩ জন মশক কর্মী অ্যাডাল্টিসাইডিং কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এ সময় করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই বিশেষ চিরুনি অভিযান কার্যক্রম তদারকি করবেন।
ডিএসসিসির পাক্ষিক পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রমুখ।