ড্র হলো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। পঞ্চম ও শেষ দিনের প্রথম দুই সেশন মিলিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল টাইগাররা।
তবে স্বাগতিকদের সব চেষ্টা সব নস্যাৎ করে লঙ্কানদের ড্র এনে দেন দুই অপরাজিত ব্যাটার দিনেশ চান্দিমাল (৩৯) ও উইকেটরক্ষক নিরোশান দিকভেলা (৬১)। তৃতীয় সেশন শেষ হওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে ড্র মেনে নেয় দু’দল।
প্রতিরোধ গড়ে লঙ্কানদের বিপদ সামাল দেন দিকভেলা-চান্দিমাল। দুজনে গড়েন ৯৯ রানের জুটি। সফরকারীরা দ্বিতীয় ইনিংসে করে ৬ উইকেটে ২৬০ রান। ২ উইকেটে ৩৯ রানে শেষদিন শুরু করে তারা।
দিনের শুরুটা বেশ ভালোভাবে সামাল দিচ্ছিলেন দিমুথ করুনারত্নে ও কুশল মেন্ডিস। দুজনের ৬৭ রানের জুটি ভাঙেন তাইজুল ইসলাম। ফিফটি থেকে ২ রান দূরে থাকতে বোল্ড হন মেন্ডিস। এরপর প্রথম ইনিংসে ১৯৯ রান করা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে ডাক উপহার দেন তাইজুল।
আগেরদিন বিকেলেও জ্বলে উঠেছিলেন এই বাংলাদেশি স্পিনার। ‘নাইট ওয়াচ ম্যাচ’ হিসেবে নামা লাসিথ এম্বুলদেনিয়াকে (২) বোল্ড করে দিন শেষ করেছিলেন। তার আগে তাইজুল দুর্দান্ত থ্রোয়ে রান আউট করেন ওপেনার ওশাদা ফার্নান্দোকে (১৯)।
শেষ দিনের দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেও আধিপত্য দেখালেন তাইজুল। উইকেটে গেঁড়ে বসে ২৮তম টেস্ট ফিফটি পাওয়া করুনারত্নেকে (৫২) ফিরিয়ে লঙ্কানদের মনে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ১৮ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিলেন সফরকারীদের ওপেনার-অধিনায়ক।
এরপর ধনাঞ্জায়া ডি সিলভাকে (৩৩) ফেরান সাকিব আল হাসান। তবে এরপরই প্রতিরোধ গড়েন দিকভেলা-চান্দিমাল। চা বিরতি থেকে ফেরার পরও এই জুটি ভাঙতে পারেননি বাংলাদেশি বোলাররা।
প্রথম ইনিংসে ৩৯৭ রান করে শ্রীলঙ্কা। ওপেনার তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস করে ৯ উইকেটে করে ৪৬৫ রান।
শরীফুল ইসলাম ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ হওয়ায় সেখানেই থামে টাইগাররা। তাতে ৬৮ রানের লিড পায় স্বাগতিক দল। শেষদিনে শরীফুলকে ছাড়াই মাঠে নামে বাংলাদেশ। ২৩ মে থেকে শুরু হওয়া ঢাকা টেস্ট থেকেও ছিটকে গেছেন এই পেসার।
এক রানের জন্য দ্বিশতক বঞ্চিত হওয়া ম্যাথিউসের হাতে উঠেছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।