হজের খরচ আরও ৫৯ হাজার টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্যাকেজ ঘোষণার পর ফের সরকারি ও বেসরকারিভাবে হজের খরচ বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
নতুন প্যাকেজ অনুযায়ী প্যাকেজ-১ এর অধীনে জনপ্রতি ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা ধরা হয়েছিল। প্যাকেজ-২-এর অধীনে ধরা হয় জনপ্রতি ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এই দুটি প্যাকেজের সাথে বাড়তি ৫৯ হাজার টাকা যোগ হবে। এ ছাড়া বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৪ টাকার সাথে ৫৯ হাজার টাকা যোগ হয়ে মোট ৫ লাখ ১২ হাজার ৭৪৪ টাকা খরচ হবে।
এর আগে গত ১১ মে হজের প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। ওই দিন সচিবালয়ে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির সভায় এই হজ প্যাকেজ চূড়ান্ত করা হয়। সভা শেষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান সাংবাদিকের হজ প্যাকেজ সম্পর্কে ব্রিফ করেন। তখন ঘোষিত প্যাকেজে হজের আগের খরচের চেয়ে ১ লাখ টাকার বেশি খরচ বাড়ে।
প্যাকেজ ঘোষণার পাশাপাশি তখন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবার মোট ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজে যাচ্ছেন। এর মধ্যে সরকারিভাবে ৪ হাজার জন এবং বেসরকারিভাবে যাবেন ৫৩ হাজার ৫৮৫ জন।
হজে যেতে আবেদন করেছেন এমন যাত্রীদের মধ্যে যাদের বয়স ৬৫-এর বেশি তারা হজে যেতে পারবেন না বলেও জানান ফরিদুল হক খান। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যারা আবেদন করেছেন তাদের মধ্যে ১০ হাজার মানুষের বয়স ৬৫ বছরের বেশি। তারা হজে যেতে পারবেন না।’
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সৌদি সরকারের বিধিনিষেধের মুখে গত দুই বছর হজ পালন করতে পারেননি বাংলাদেশি হজযাত্রীরা। সবশেষ ২০১৯ সালে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন হজযাত্রীরা। তখন হজ পালনে প্যাকেজ-১ এ ৪ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা এবং প্যাকেজ-২ এ খরচ ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।