মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ জয়-পরাজয় নির্ধারণ হতেই হবে। মাঝামাঝি কোন জায়গা নেই। এবারের বিষয়টি এমন। দুটটি গণতান্ত্রিক দলের মধ্যে নির্বাচনী পদ্ধতি নিয়ে বিরোধ এটি নয়। এটি সাতচল্লিশ ও একাত্তরের বিরোধ, দুটি দর্শনের বিরোধ,দুটি আদর্শের বিরোধ। বুঝতে হবে দুটি গণতান্ত্র্রিক পক্ষের মাঝে বিরোধ ঘটলে তা মিমাংসা করা যায়,উভয় পক্ষকে কমবেশী ছাড় দিয়ে ফয়সালা করা যায়। কিন্তু এবার এখানে পক্ষ দুটি দুই বিপরীত মেরুর। একটি গণতান্ত্রিক শক্তি অন্যটি ঊগ্র ধর্মীয় ফ্যানাটিক পক্ষ। কেউ কেউ গণতান্ত্রিক শক্তিটির বিষয়ে যৌক্তিক প্রশ্ন তুলবেন,তোলাটা অস্বাভাবিক নয়। বিতর্ক তোলার মত বিষয়ের অভাব হয় না। তবে শেষ কথা হলো দর্শনগতভাবে পক্ষ দুটির যে কোন এক পক্ষকে পরাজিত হতে হবে।
— অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রদর্শন এবং সাম্প্রদায়িক ধর্মীয় রাষ্ট্রদর্শন যে কোন একটির পতন হতেই হবে। ১৬ ডিসেম্বর পরাজিত হয় না। চলমান বিশৃংখলায় বিএনপি-জামাত-জাগপা-নেজামে-খেলাফত ওয়ালারা জয়লাভ করলে ১৬ ডিসেম্বর,২৬ মার্চ,২১ ফেব্রুয়ারি পরাজিত হয়। ওরা জিতলে রক্ষণশীলতা জিতে যায়,প্রতিক্রিয়াশীলরা জিতে যায়। অন্ধত্ব কুসংস্কার জয়লাভ করে। ওরা জিতলে প্রগতি হেরে যায়। পথিবীর কোথাও কখনো রক্ষণশীলতা প্রতিক্রিয়াশীলতার কাছে প্রগতির পরাজয় হয়নি। পৃথিবীর দেশে দেশে চলমান জঙ্গি তৎপরতার চূড়ান্ত অবসান হবেই। বাংলাদেশেও অচিরেই শেষ হবে আগুন পেট্রোলে মানুষ পোড়ানোর জঙ্গিত্ব শেষ হবেই।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/২৬-০৩-২০১৬ইং/নিঝুম