উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে কিশোরগঞ্জের হাওরের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা দেখা দিয়েছে। প্লাবিত হচ্ছে বিভিন্ন এলাকা। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে ১৫টি গ্রামের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন প্রায় ১০ হাজার গ্রাহক।
শনিবার (১৮ জুন) রাত থেকে নিরাপত্তার স্বার্থে সাময়িক সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃপক্ষ।
কিশোরগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বন্যার কারণে কিশোরগঞ্জের দুটি উপজেলার ১৫টি গ্রামের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। পানি কমে গেলেই আবার বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ ও ইটনা হাওরে পানি বাড়ায় নিয়ামতপুর এবং চৌগাংগা পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের আওতাধীন শান্তিপুর, চারিতলা, বালিয়াপাড়া, খাকশ্রী, সুতারপাড়া, বালিখলা, চং নোয়াগাঁও, পাঁচকাহনিয়া, বড়িবাড়ি, এনসহিলা, দিয়ারকান্দি, বাদলা, কুর্শি, শিমুলবাঁক ও টিয়ারকোণা এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনে ক্লিয়ারেন্স কমে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। আর এজন্যই বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে ১৫টি গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।