উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে বিভিন্ন নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় দেখা দিয়েছে বন্যা। তলিয়ে গেছে বেশ কয়েকটি গ্রাম। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
বন্যায় আটকে পড়া এসব মানুষের দুঃখ-দুর্দশা নিজ চোখে দেখতে ছুটে গেলেন কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ।
মঙ্গলবার (২১ জুন) সকালে হাঁটুপানি ভেঙ্গে উপজেলার চারটি ইউনিয়নের বন্যাদুর্গত গ্রামগুলো পরিদর্শন করেন তিনি। এসময় তিনি বন্যাকবলিত অসহায় মানুষের সাথে সরাসরি কথা বলেন।
এদিকে কিশোরগঞ্জে হাওরের পানি দ্রুত বাড়ছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। গত কয়েকদিনে জেলার ৮টি উপজেলার ৬২টি ইউনিয়নের দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন প্রায় আড়াই লাখ মানুষ।
উজানের পানি দ্রুত হাওরে প্রবেশ করার ফলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত জেলার অষ্টগ্রাম, ইটনা, মিঠামইন, করিমগঞ্জ, তাড়াইল, নিকলী, বাজিতপুর, কটিয়াদী ও ভৈরবসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় দেড় হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা প্লাবিত হয়েছে। রাস্তাঘাট, বসতবাড়ি, হাট-বাজার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে। শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ হয়ে গেছে।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠকে বলেন, বন্যা দুর্গতদের জন্য ২৫৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ৩ হাজার ১৩৮টি পরিবারের প্রায় ১২ হাজার মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে ১৪০ টন চাল, দুই হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট ও আড়াই লাখ টাকার জিআর চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৬ টন চাল ও নগদ এক লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের বিতরণ করা হয়েছে।