কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় সেপটিক ট্যাংক থেকে রাশিদা খাতুন (৩৫) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৫ জুন) দুপুরে উপজেলার সুখিয়া বাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী ও দেবরকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত গৃহবধূ রাশিদা জেলার সদর উপজেলার আবদুল মোতালিবের মেয়ে।
আটক গৃহবধূর স্বামী মাসুদ মিয়া (৪০) ও দেবর সোহেল মিয়া (৩৭) উপজেলার সুখিয়া গ্রামের বাসিন্দা। সোহেল সুখিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর বাবা আবদুল মোতালিব বাদী হয়ে স্বামী ও দেবরকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সারোয়ার জাহান মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২০ বছর আগে সুখিয়া এলাকার মাসুদের সঙ্গে বিয়ে হয় রাশিদার। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে তার স্বামী ও দেবর যৌতুকের জন্য নানাভাবে নির্যাতন করতো। টাকা এনে দিলে সে টাকা দিয়ে জুয়া খেলতো মাসুদ। এ নিয়ে পরিবারের মাঝে ঝামেলা লেগেই থাকতো।
শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার পর যেকোনো সময় রাশিদাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে রাখে মাসুদ ও তার ভাই সোহেল। খবর পেয়ে শনিবার দুপুরের দিকে পুলিশ গিয়ে সেপটিক ট্যাঙ্কের ভেতর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।