দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মৃত্যু হয়েছিল ৩ জনের। এ সময় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৬৫৬ জন। একই সময়ে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৪ হাজার ৭৬১ টি করোনার নমুনা পরীক্ষা করে এই ৬৫৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। গতকাল শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৫২১ জন।
পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গতকাল এই হার ছিল ১৩ দশমিক ১৮ শতাংশ।
সর্বশেষ ৯ জনকে নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৯ হাজার ২১২ জন। দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৯ লাখ ৯১ হাজার ৩১ জন।
২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা থেকে আরো সুস্থ হয়েছে আরো ১ হাজার ৫৪২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা ১৯ লাখ ১৫ হাজার ৮৬০ জন।
গতকালের তুলনায় আজ বেড়েছে মৃত্যু ও শনাক্ত রোগীর সংখ্যা।
সংক্রমণ কমার ধারায় গত ৫ মে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমেছিল ৪ জনে। তবে গত ২২ মের পর থেকে টানা এক মাসের বেশি সময় ধরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবারো বাড়ছে।
এর ফলে সারা দেশে দোকান, শপিংমল, বাজার, ক্রেতা-বিক্রেতা, হোটেল রেস্টুরেন্টে সবাইকে আবারো বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরাসহ ছয়টি নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। গত ২৮ জুন এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়।
দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
গত বছরের ডিসেম্বরের শেষে বিশ্বে ছড়াতে শুরু করে করোনার অতি সংক্রামক নতুন ধরন ওমিক্রন। তখন দেশে রোগী শনাক্তের হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুও বাড়তে থাকে।
এ বছর ফেব্রুয়ারি থেকে আবার নামতে শুরু করে করোনা রোগীর সংখ্যা। যদিও জানুয়ারির শেষ দিকে শনাক্তের হার কিছুটা কমে ৩০ শতাংশের নিচে নামে। ওমিক্রন আতঙ্ক কিছুটা কাটিয়ে দেশে কয়েক দিন ধরে শনাক্তের সংখ্যা কমতে শুরু করে।
এর আগে, ওমিক্রন আতঙ্কের শুরুর দিকে দেশে কয়েক সপ্তাহ ধরে শনাক্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছিল। তাই সংক্রমণ ঠেকাতে বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল সরকার। তবে ধীরে ধীরে সেসব বিধিনিষেধ তুলে নেয় সরকার।
গত বছরের মাঝামাঝি করোনার ডেল্টা ধরনের দাপটে দেশে করোনায় মৃত্যু, রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার অনেক বেড়ে গিয়েছিল। তবে আগস্টে দেশব্যাপী করোনার গণটিকা দেয়ার পর সংক্রমণ কমতে থাকে।