ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়ায় বাংলাদেশের পেসার শহিদুল ইসলামকে ১০ মাস নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। এ সময়ে ক্রিকেটীয় কোনো কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না টাইগারদের হয়ে একটি টি-টুয়েন্টি খেলা পেসার।
বৃহস্পতিবার এন্টি ডোপিং কোডের ২.১ ধারা ভঙ্গ করার দায়ে শহিদুলকে শাস্তি দেয়ার কথা জানায় আইসিসি। নিয়ম ভঙ্গের কথা স্বীকার করে আইসিসির শাস্তি মেনে নিয়েছেন ২৭ বর্ষী তারকা।
আইসিসির আউট অব কম্পিটিশন টেস্টিং প্রোগ্রামে গত ৪ মার্চ ইউরিনের নমুনা দিয়েছিলেন শহিদুল। পরীক্ষায় যাতে ক্লোমিফিন পাওয়া গেছে। ডব্লিউএডিএ’র নিষিদ্ধ বস্তুর তালিকায় রয়েছে এই ক্লোমিফিন। এটা খেলার সময় বা অন্য সময়— উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবহার নিষিদ্ধ।
সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় আইসিসি জানিয়েছে, শহিদুল উল্লেখযোগ্য কোনো দোষ বা অবহেলা প্রদর্শন করেননি। অসাবধানতাবশত নিষিদ্ধ পদার্থটি গ্রহণ করেছিলেন, যা তার থেরাপিউটিক কারণে বৈধভাবে নির্ধারিত ওষুধে ছিল। তিনি পারফরম্যান্স বাড়ানোর উদ্দেশ্যে যে ওষুধটি নেননি তা আইসিসিকে বোঝাতে পেরেছেন।
ডানহাতি টাইগার পেসারের শাস্তির মেয়াদ শুরু হবে গত ২৮ মে থেকে। কার্যকর হয়ে ১০ মাস বাদে ২০২৩ সালের ২৮ মার্চ আবারও ক্রিকেটীয় কার্যক্রমে ফিরতে পারবেন শহিদুল।
চলতি ক্যারিবিয়ান সফরেও বাংলাদেশ দলের টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি স্কোয়াডে ছিলেন শহিদুল। সফরে তিনি একটি ম্যাচেও মাঠে নামার সুযোগ পাননি। বাংলাদেশের জার্সিতে একটি টি-টুয়েন্টি খেলেছেন এ পেসার, যাতে ২৩ রান খরচায় একটি উইকেট আছে তার নামের পাশে।