সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ১৮ মাস ২৪ দিন পর কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহাব আইন উদ্দিনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুরে জেলা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি টিম কটিয়াদী পৌরসভার বীর নোয়াকান্দি এলাকার পারিবারিক কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলন করে।
এ সময় কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জ্যোতিশ্বর পাল ও মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির উপ-পরিদশর্ক মো. রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। মরদেহ উত্তোলনের পর সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতলের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৩শে ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের চারিপাড়া নাম স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন আব্দুল ওয়াহাব আইন উদ্দিন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পথচারীগণ তাকে উদ্ধার করে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিয়ে আসেন। পরে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা রেফার্ড করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৫শে ডিসেম্বর ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়। পরদিন জানাযা শেষে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়।
ঘটনার ১৪ মাস ৮ দিন পর গত ২ ফেব্রুয়ারি আব্দুল ওয়াহাব আইন উদ্দিনের প্রবাস ফেরত ভাতিজা মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ জুডিশিয়াল আদালতে ৫ জনের নাম উল্লেখ ও ৮/১০ জনের অজ্ঞাত নামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে আজ আদালতের নির্দেশে তার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।
মামলার বাদী মো. রফিকুল ইসলাম জানান, আমার চাচা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহাব আইন উদ্দিন মারা যাওয়ার সময় আমি বিদেশে ছিলাম। বাড়িতে এসে আমি জানতে পারি আমার চাচা মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা যান। তিনি দুর্ঘটনায় মারা গেলেও ঐ মোটরসাইকেল চালক সজিব মিয়ার কিছুই হয়নি। আমাদের পরিবারের লোকজনের ধারণা তিনি দুর্ঘটনায় মারা যাননি। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার জন্য সড়ক দুর্ঘটনা সাজানো হয়েছে।
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির উপ পরিদশর্ক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশেই আব্দুল ওয়াহাব আইন উদ্দিনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল করে ফরেনসিক টেষ্টের জন্য পাঠানো হবে। ফরেনসিক টেষ্টের রিপোর্টে আসার পরই মামলার পরবর্তী কর্যক্রম চালানো হবে।