ক্লিন এবং গ্রিন সিটি রাজশাহী নগরীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। সোমবার (২৫ জুলাই) বিকেলে নগর ভবনে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে নগরীর সৌন্দর্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
বৈঠক শেষে রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন সাংবাদিকদের বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আমাদের সিটি করপোরেশনে এসেছেন, আমার সঙ্গে বৈঠক করেছেন, এ জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দুই দেশের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাজশাহীতে যে আমেরিকান সেন্টার রয়েছে, সেটির পরিধি আরও বৃদ্ধি করা যায় কি না সেটার সম্ভাব্যতা তারা যাচাই করছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ পুলিশের যে ট্রেনিং কার্যক্রমে সহযোগিতা করছে, তা প্রসংশার দাবিদার। সব মিলিয়ে অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আশা করি দুই দেশের সম্পর্ক উত্তরোত্তর আরও ভালো হবে।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী নগরীর ভূয়সী প্রশংসা করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, আমি রাজশাহীর সপুরা সিল্ক, মেট্রোপলিটন পুলিশের অফিস, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, সাইবার অ্যান্ড সিকিউরিটি ট্রেনিং এর কার্যক্রম, বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর, আমেরিকান কর্নার ইত্যাদি পরিদর্শন করেছি। রাজশাহী সত্যিকার অর্থে সুন্দর গ্রিন ও ক্লিন সিটি।
নগর ভবনে বৈঠকের শুরুতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। বৈঠক শেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের হাতে সম্মননা স্মারক ও উপহারসামগ্রী তুলে দেন রাসিক মেয়র।
এর আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নগর ভবনের প্রধান ফটকে পৌঁছালে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন। এরপর শিশুশিল্পীদের অংশগ্রহণে নৃত্য আর বর্ণিল আয়োজনে তাকে বরণ করে নেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ, রাসিকের ২ নং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর আয়েশা খাতুন, সচিব মো. মশিউর রহমান, প্রকল্পের উপদেষ্টা আশরাফুল হক, প্রধান প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালে নূর-ঈ সাঈদ, বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।