মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ- এবার নিউজিল্যান্ডের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বুধবারের সেমিফাইনাল কিউইদের পঞ্চম ম্যাচ। খেলছে পঞ্চম ভেন্যুতে! সেখানে দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় এটি ইংল্যান্ডের টানা তৃতীয় ম্যাচ! ইংলিশ অধিনায়ক এউইন মরগ্যান তো বলেই দিলেন, “আমরা দিল্লিতে বেশ থিতু হয়ে গেছি।
আমাদের জন্য ভালো ব্যাপার।” এই বিষয়ে প্রশ্ন করতেই নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের নির্বিকার জবাব, “অন্য সবার চেয়ে আমরা ভারতটাকে ভালোভাবে দেখলাম। দলের সবাই এটা লুফে নিয়েছে।” কি আনন্দের ব্যাপার! বিশ্বকাপও খেলা হলো। আবার একটা দেশ ভালোভাবে ঘুরেও ফেলা হলো! এমন আনন্দ নিয়েই টুর্নামেন্টের একমাত্র অপরাজিত দল নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এবারের সেমিফাইনালে লড়বে। দিল্লিতে রাত আটটায় ফাইনালে ওঠার লড়াই শুরু।
ইংলিশররা টি-টোয়েন্টিতে ১২ দেখায় ৮বার হারিয়েছে কিউইদের। কিন্তু নিউজিল্যান্ড এখন অপ্রতিরোধ্য। শেষ ১০ টি-টোয়েন্টির ৯টিতে জিতেছে। বিশ্বকাপে জিতেছে টানা ৪ ম্যাচ। ভারতের কন্ডিশনকে দারুণভাবে কাজে লাগাচ্ছে। স্পিনাররা যেন ঘরেই খেলছেন! তিন স্পিনার ৯ উইকেট নিয়ে স্বাগতিক ভারতকে ধ্বসিয়ে দিয়েছিল মাত্র ৭৯ রানে। বাঁ হাতি স্পিনার মিচেল স্যান্টনার (৯) ও লেগ স্পিনার ইশ সোধি (৮) মিলে শিকার করেছেন ৮ উইকেট। নতুন বলে কিউইদের সেরা ফাস্টবোলিং জুটি ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদি একটা ম্যাচ খেলারও সুযোগ পাননি!
এবারের আসরের সবচেয়ে ধারাবাহিক দলও আসলে নিউজিল্যান্ড। তাদের আছে গেলো বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলার গর্ব। সেই সাথে তা হারার কষ্টও। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে কখনো খেলা হয়নি। সেই সুযোগের সাথে শিরোপা জেতার সুযোগ তৈরি করতে মরিয়া দলটির অধিনায়ক উইলিয়ামসন বলেছেন, “দল এখন খুব রিল্যাক্স। এখন পর্যন্ত আমরা ভীতিহীন ক্রিকেট, স্মার্ট ক্রিকেট খেলেছি। সেটাই আবার করার চেষ্টা করবো। শক্তিশালী ইংল্যান্ডও জিততে চাইবে। রোমাঞ্চকর কিছু ঘটবে।” নিউজিল্যান্ড একে একে হারিয়েছে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে।
ইংল্যান্ড শুরুতে হারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে। তারপর দক্ষিণ আফ্রিকা, আফগানিস্তান ও গেলোবারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে আসে। তারা ২০১০ এর চ্যাম্পিয়ন। আরেকবার ফাইনালে খেলার সুযোগ কিছুতেই হাতছাড়া করতে চায় না। অধিনায়ক মরগ্যান বললেন, “নিউজিল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে আমাদের সামনে আরেকটি কঠিন খেলা। গ্রুপ পর্বে ওরা সবার থেকে ভালো খেলেছে। তবে আমরা স্বাভাবিকভাবে খেলবো। বল বাই বল খেলে লড়ে যাবো। এখন সবার নিজেকে প্রকাশের সময়। এভাবেই সেরাটা বের হয়ে আসে।”
ইংলিশদের ব্যাটিং ভালো। দক্ষিণ আফ্রিকার দেয়া ২৩০ রানের টার্গেট তাড়া করে জিতে রেকর্ড গড়েছে। বোলিংয়ে ইংলিশ ঐতিহ্য অনুযায়ী সিমারদের ওপর নির্ভরশীল তারা। দুজন স্পিনার আছেন। তবে বড় ভরসার না। নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা তো ভয়ঙ্কর। তাদের চরিত্রের পুরোটা এখনো এই টুর্নামেন্ট দেখেনি। আগ্রাসী খেলোয়াড়রা ব্যাটিংয়ে দিয়েছেন গভীরতা। সেমিফাইনাল মানে নক আউট। প্রাণপণ লড়াইটা দারুণ জমারই কথা।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/29-03-2016/মইনুল হোসেন