muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

সংসদ ভবনের মূল নকশা সংগ্রহ করতে যুক্তরাষ্ট্রে যাবে প্রতিনিধি দল

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডেস্কঃ- জাতীয় সংসদ ভবনের মূল নকশা সংগ্রহ করতে যুক্তরাষ্ট্রে যাবে বাংলাদেশের ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল। মন্ত্রণালয় প্রতিনিধি দলের সদস্যদের নাম চুড়ান্ত করবে। আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে তাদের যাওয়ার সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। আর নকশা সংগ্রহ করতে ৬ সপ্তাহ সময় লাগবে বলে আশা করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনসহ সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পেন্সিলভেনিয়া ইউনিভার্সিটির আর্কাইভে বিশ্বখ্যাত স্থাপতি লুই আই কানের ৮ হাজার নকশা রয়েছে বলে অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে। তার মধ্যে থেকে জাতীয় সংসদসহ আগারগাঁও এলাকার সকল নকশা যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। দেশের জন্য ৮৫৩টি নকশা সংগ্রহের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
ওই নকশাগুলো সংগ্রহের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রতিটি নকশার জন্য ১৯ ডলার খরচ হবে। ইতিমধ্যে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্ধ করেছে।

এ বিষয়ে প্রধান স্থাপতি কাজী গোলাম নাসির কালের কণ্ঠকে জানান, নকশা সংগ্রহের বিষয়ে স্পিকার ও মন্ত্রী ইতিবাচক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। মন্ত্রণালয় প্রতিনিধি দলের নাম চুড়ান্ত করবে। এর পর তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হবে। তিনি আরো জানান, এই প্রতিনিধি দলে স্থাপত্য অধিদপ্তর থেকে দুজন এবং গণপূর্ত অধিদপ্তর, পিডব্লিউডি ও সংসদ সচিবালয় থেকে একজন করে থাকবেন। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রতিনিধি দল যেতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বৈঠক শেষে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পেন্সিলভেনিয়া ইউনির্ভাসিটি থেকে সার্চ করতে ৩ হাজার ৫৫০ মার্কিন ডলার ব্যয় করতে হয়েছে। সার্চের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে সেখানে ৮ হাজার নকশা এবং ডকুমেন্ট আছে। কিন্তু সবগুলো রেলিমেন্ট না। এর মধ্যে ৮৫৩টি নকশা প্রয়োজন বলে তারা স্থাপত্য অধিদপ্তরকে জানিয়েছে। সেগুলো সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

স্পিকার আরো বলেন, প্রতিনিধি দল সেখানে গিয়ে নকশাগুলো দেখবে। তারা অনুমোদন দেওয়ার পর টাকা পরিশোধ করে নকশাগুলো আনা হবে। এতে ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ লাগতে পারে বলে জানান তিনি।

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/29-03-2016/মইনুল হোসেন

Tags: