muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

দেশের ১৪ শতাংশ হাসপাতাল কখনোই নিবন্ধন করেনি : আইসিডিডিআর’বি

দ্বিতীয়বারের মতো সারাদেশে অবৈধ ও অনিবন্ধিত হাসপাতাল-ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে অভিযান পরিচালনা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যেই দেশে অনিবন্ধিত হাসপাতাল-ক্লিনিকের সংখ্যা নিয়ে রীতিমতো চমকে যাওয়ার মতো তথ্য দিয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর’বি)। সংস্থাটি বলছে, দেশের ১৪ শতাংশ হাসপাতাল কখনোই নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেনি।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে দিকে আইসিডিডিআর’বি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গবেষণা উপাত্ত তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানের ম্যাটার্নাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ডা. শামস এল আরেফিন।

তিনি বলেন, দেশে বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোতে বিভিন্ন সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা করেছে। এই বিষয়ে ইউএস-এইডের সহায়তায় আমরা দেশের ১০টি জেলার ২৯টি উপজেলায় একটি গবেষণা জরিপ পরিচালনা করি। যেই গবেষণায় স্থানীয় সিভিল সার্জনসহ কিছু বেসরকারি হাসপাতাল আমাদেরকে সহায়তা করেছে। গবেষণায় ১ হাজার ১৮৯টি বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিককে অ্যাসেসমেন্ট (মূল্যায়ন) করার জন্য সহযোগিতা চাওয়া হলে তাদের মধ্যে ৪০টি হাসপাতাল সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানায়। সবশেষে ১ হাজার ১১৭টি হাসপাতালকে নিয়ে এই মূল্যায়ন করা হয়।

শামস এল আরেফিন বলেন, জরিপ করা ১ হাজার ১১৭টি বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে ৯৫৬টি হাসপাতাল কোনো এক সময় নিবন্ধনের আওতায় এসেছিল- শতকরা হিসাবে যা প্রায় ৮৬ শতাংশ। আর বাকি ১৬১টি (১৪ শতাংশ) বেসরকারি হাসপাতাল কখনোই তাদের কার্যক্রমের জন্য নিবন্ধন করেনি।

তিনি আরও বলেন, এক সময় নিবন্ধনের আওতায় আসা ৯৫৬টি বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে ৮৮৬টির (৭৯ শতাংশ) লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছিল, ৬৬টি হাসপাতালের (৬ শতাংশ) বৈধ লাইসেন্স ছিল এবং বাকি ৪টি হাসপাতাল (দশমিক ৫ শতাংশ) এ বিষয়ে কোনো তথ্যই জানায়নি।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৮০ সাল থেকে দেশে বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমের অগ্রগতি শুরু হয়। অগ্রগতিটা সবচেয়ে বেশি হয় ২০০৭ থেকে ২০১৭ এই দশ বছরে। বর্তমানে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্য সেবার জন্য বেসরকারি হাসপাতালের ওপর নির্ভর করে। বেসরকারি হাসপাতালের ওপর মানুষের এই নির্ভরতার কারণ-সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা, পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ নানা সংকট বা জটিলতা।

গবেষণায় আরও বলা হয়, ১৯৮২ সালের আইন অনুযায়ী বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে স্বাস্থ্য সেবার ৭টি শর্ত বা নিয়ম অবশ্যই মেনে কার্যক্রম চালাতে হয়। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, এসব শর্ত পূরণ করে স্বাস্থ্য সেবা দিতে গেলে নানা বাধার মুখে পড়তে হয়, কোয়ালিটি স্বাস্থ্য সেবা দিতে সমস্যা হয়। সে কারণে তারা ইচ্ছে থাকলেও এসব শর্ত সবসময় মানতে পারেন না।

Tags: