মুক্তিযোদ্ধার কন্ট ডেস্কঃ- পহেলা বৈশাখে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিকেল ৫টার পর বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বাংলা নববর্ষ-১৪২৩ উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পুলিশের সঙ্গে মতবিনিময় করা হবে বলেও সভা সূত্রে জানা যায়।
এছাড়াও এবছর বাইরের কোনো দোকান ক্যাম্পাসে বিশেষ করে টিএসসিতে ঢুকবে না। মুহসিন হলের মাঠে কিছু দোকান বসবে। দোকানিদের আবেদন অনুযায়ী গুরুত্বের ভিত্তিতে এসকল দোকানের অনুমোদন দেয়া হবে। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের একান্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকানকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউট পরিচালক, সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্য, প্রক্টর, অফিস প্রধান এবং বিভিন্ন সমিতির প্রতিনিধিবর্গ।
এসভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইনকে আহ্বায়ক করে ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট নববর্ষ উদযাপন কমিটি গঠন করা হয়েছে। চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন এই কমিটির সদস্য-সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।
নববর্ষ উদযাপন শৃঙ্খলা উপ-কমিটির আহ্বায়ক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এম আমজাদ আলী সভার সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানান, এবার দিবসটি সুষ্ঠুভাবে উদযাপনে নববর্ষ উদযাপন কমিটির প্রস্তুতি সভায় বেশ কিছু নতুন প্রস্তাবনা আসছে। তবে যেহেতু সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের মূল দায়িত্বে থাকবে পুলিশ, তাই উদযাপন কমিটির সিদ্ধান্তের ব্যাপারে পুলিশকে অবহিত করা হবে। তাদের সহযোগিতায় সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন করা হবে।
১৪ এপ্রিলের ওইদিন ৫টা থেকে ক্যাম্পাসে নতুন করে কেউ ঢুকতে পারবে না, শুধু বের হবে। ছবির হাট ও রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের যে গেট আছে তা বন্ধ থাকবে। টিএসসি, চারুকলা, বাংলা একাডেমি, কলা ভবন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পুলিশের পাশাপাশি কয়েক’শ বিএনসি এবং রোভার স্কাউটের সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। এছাড় ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে আলাপ করে তাদের থেকেও স্বেচ্ছাসেবী নেয়ার ব্যাপারে আলাপ করা হবে।
সভায় কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়াও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নববর্ষ উদযাপনের লক্ষ্যে ৩৫ সদস্যবিশিষ্ট শৃঙ্খলা উপ-কমিটি ও ৩০ সদস্যবিশিষ্ট মঙ্গল শোভাযাত্রা উপ-কমিটি গঠন করা হয়। উপ-কমিটিসমূহকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করে উপাচার্যকে অবহিত করতে বলা।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ট ডটকম/30-03-2016/মইনুল হোসেন