কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার ৪নং চান্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মাহফুজ, ইউপি সদস্য শহিদুল হক উজ্জলসহ ৯জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) কিশোরগঞ্জের আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেনাজ আফরোজ আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পরে তাদের কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মাহফুজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে স্বশস্ত্র একটি দল গত ২১ জুন চান্দপুর ইউনিয়নের মঞ্জিলের কান্দা গ্রামের বৃদ্ধ আনোয়ার আলী ভূইয়া (মারাজ) এর বাড়িতে লাল নিশান গাড়িয়া তাণ্ডব চালিয়ে বাড়ি ঘর দখল করে নিয়ে উল্লাস প্রকাশ করে এবং আনোয়ার আলী ও তার স্ত্রীকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
এ ঘটনায় মামলা মোকদ্দমা করলে তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়।
বাড়ি থেকে বিতাড়িত আনোয়ার আলী থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
গত ২১ জুন ২০২২ তারিখে আনোয়ার আলী বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জের আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আদালতে ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানকে ১নং ও মেম্বার শহিদুল হক উজ্জলকে ২নং আসামিসহ মোট ৯জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী আনোয়ার আলী ভূইয়া জানান, আসামিরা খুবই প্রভাবশালী, দীর্ঘদিন থেকে আমার বাড়ি ঘর দখলের পাঁয়তারা করে আসছে। এ নিয়ে কয়েকটি মামলাও করা হয়েছে। কিন্তু এ সব মামলা মোকদ্দমার তোয়াক্কা না করে তারা আমার বাড়ি ঘর দখল করে নেয়। সুযোগ পেলে যে কোন সময় আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে খুন, গুম করে ফেলতে পারে। তাদের ভয়ে আমি এলাকাছাড়া। আমার জীবনের নিরাপত্তাসহ আমি আমার বসতবাড়ি ফিরে পেতে আদালতের দ্বারস্ত হয়েছি।
বাদী পক্ষের এডভোকেট মাহফুজুল হক বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ন্যায় বিচারের বিকল্প নেই। বাদী পক্ষ তার পূর্ব পুরুষের বসতভিটা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে প্রায় দুশ বছর যাবত বসবাস করে আসছেন। একদল পেশী শক্তি, গোষ্ঠি অন্যায় ভাবে বাদীকে ভিটাছাড়া করে। বিজ্ঞ আদালত আমাদের বক্তব্য শুনে আসামিদের জমিনের আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। তা ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় উজ্জল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।