ইমরুল ফিরে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৪৮ রান। ৩২ রানে অপরাজিত তামিম ইকবালের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন মুমিনুল হক।
৬ উইকেটে ১৯৫ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে ৩৫৪ রানে পিছিয়ে থাকায় জয়ের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫৫০ রান।
দুই সেশনেরও কম সময়ে ২০৩ রানে অলআউট হয়ে যাওয়া বাংলাদেশকে ফলোঅন করায়নি পাকিস্তান। ৮ উইকেটে ৫৫৭ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করা অতিথিরা ৩৫৪ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে।
শুরুতেই আঘাত হানেন মোহাম্মদ শহীদ। প্রথম ওভারেই মোহাম্মদ হাফিজকে ফিরিয়ে দেন তিনি। পরে অন্য উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সামি আসলামকেও বিদায় করেন দারুণ বল করা শহীদ।
প্রথম ইনিংসে দ্বিশতক করা আজহার আলিকে ফিরিয়ে নিজের প্রথম টেস্ট উইকেট নেন সৌম্য সরকার। ৪৯ রানে প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে হারানো পাকিস্তান শতরান পার হয় ইউনুস খান ও মিসবাহ-উল-হকের দৃঢ়তায়।
তাইজুল ইসলাম ফিরতি ক্যাচ নিয়ে ইউনুসকে বিদায় করার পর আসাদ শফিককে বোল্ড করেন শুভাগত হোম চৌধুরী। তবে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন মিসবাহ। তাইজুল ইসলামের এক ওভারে ২১ রান নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক।
মাহমুদউল্লাহর বলে সীমানায় বদলি ফিল্ডার আবুল হাসানের ক্যাচে পরিণত হওয়ার আগে ৮২ রান করেন মিসবাহ। তার ৭২ বলের অধিনায়কোচিত ইনিংসটি গড়া ৯টি চার ও ৩টি ছক্কায়।
এর আগে শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৫ উইকেটে ১০৭ রান নিয়ে খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের শুরু থেকেই বাউন্সার দিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখেন ওয়াহাব রিয়াজ।
ভালো বোলিংয়ের পুরস্কার ওয়াহাব পেয়ে যেতে পারতেন প্রথম ওভারেই। ক্যাচ দিয়েও সেবার কোনোমতে বেঁচে যান সাকিব আল হাসান। তবে ওয়াহাবকে ঠেকাতে পারেননি সৌম্য ও শুভাগত।
সৌম্য শর্ট কাভারে আজহারকে ও শুভাগত গালিতে শফিককে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। ওয়াহাবের হ্যাটট্রিক ঠেকিয়ে দেওয়া তাইজুলকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন সাকিব।
সৌম্য-শুভাগতর বিদায়ের পর সব বলেই মেরে খেলার চেষ্টা করেন সাকিব। নয় নম্বর ব্যাটসম্যান তাইজুলকে শুরুতে স্ট্রাইক দিতে চাননি তিনি। ব্যবধান কমানোর দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেওয়া সাকিব বোল্ড হয়ে যান ওয়াহাবের বলে। তবে ‘নো’ বলের কল্যাণে বেঁচে যান তিনি।
ওয়াহাবকে আক্রমণ থেকে সরিয়ে নেওয়ার পর সাকিব স্ট্রাইক দেন তাইজুলকে। ফলোঅন এড়ানোর চেষ্টা বা বড় জুটি গড়ার চেষ্টা না করে মেরে খেলে আউট হয়ে যান তিনি।
হাঁটুর চোটের কারণে ঢাকা টেস্ট শেষ হয়ে যাওয়ায় ব্যাটিং করেননি শাহাদাত। তাই শহীদ ছিলেন স্বাগতিকদের শেষ ব্যাটসম্যান। তিনি ক্রিজে আসার পর চার-ছক্কা হাঁকিয়ে দ্রুত রান সংগ্রহ করতে থাকেন সাকিব।
শহীদের সঙ্গে সাকিবের ৬৩ রানের জুটিতে দুইশ’ পার হয় বাংলাদেশের সংগ্রহ। ডিপ মিডউইকেট, ডিপ স্কয়ার লেগ ও ডিপ ফাইন লেগে ফিল্ডার রেখেও সাকিবকে ঠেকাতে পারেনি অতিথিরা। ওয়াহাবের বলে ঠিকই একের পর এক চার আদায় করে নেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার।
ইয়াসির শাহর দুটি ওভার কাটিয়ে দিলেও তৃতীয় ওভারটিতে আর পারেননি শহীদ। সিলি পয়েন্টে তিনি ক্যাচ দিলে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। সে সময় ৮৯ রানে অপরাজিত ছিলেন সাকিব। ৯১ বলে খেলা তার দুর্দান্ত ইনিংসটি ১৪টি চার ও ২টি ছক্কা সমৃদ্ধ।