সদ্য প্রয়াত ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিতে লন্ডন ও নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীরা।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১৯০৯ ভিভিআইপি ফ্লাইটে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
লন্ডন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের স্বাগত জানাবেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম। এরপর তিনি কমনওয়েলথ মহাসচিবসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন শেখ হাসিনা।
সফর সূচি অনুযায়ী, ১৬ সেপ্টেম্বর কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পরে যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ এশিয়া, উত্তর আফ্রিকা, জাতিসংঘ ও কমনওয়েলথ বিষয়ক মন্ত্রী লর্ড আহমদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
১৭ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের বিরোধীদলীয় এবং লেবার পার্টির নেতা স্যার কেইর স্টারমার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
১৮ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের রাজা কর্তৃক রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে অংশগ্রহণ করবেন ১৯ সেপ্টেম্বর।
এরপর সেদিনই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কের উদ্দেশে লন্ডন ছাড়বেন তিনি।
জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের স্বাগত জানাবেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান এবং জাতিসংঘ বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত।
২৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন তিনি। ২৪ সেপ্টেম্বর প্রবাসী বাংলাদেশিদের নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত ওয়াশিংটনে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী।
যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনায় র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি আবারও তুলে ধরবে ঢাকা।