কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষায় অবৈধ পন্থায় ছয় ভুয়া (প্রক্সি) পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়ার অপরাধে মাদ্রাসার সুপারসহ এক শিক্ষককে কারাদন্ড ও ৬ পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার উপজেলার দাখিল কেন্দ্র-২ (গাউছিয়া রহমানিয়া হোছাইনিয়া আলীম মাদ্রাসা) এ ঘটনা ঘটে।
পরীক্ষা কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে এসএসসি ও সমমানের (দাখিল) পরীক্ষায় বাংলা প্রথম পত্র বিষয়ে পরীক্ষা ছিল। বেলা ১২ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খানজাদা শাহরিয়ার বিন মান্নান আকস্মিকভাবে কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে সন্দেহজনক একজন পরীক্ষার্থীর পরিচয় যাচাইকালে দেখতে পান যে, মূল পরীক্ষার্থীর বদলে একজন ভুয়া পরীক্ষার্থী প্রক্সি পরীক্ষা দিচ্ছে। এ সময় আরও ৫ জন ভুয়া পরীক্ষার্থী সনাক্ত হয়। ওই কেন্দ্রে ধরা পড়া ভুয়া পরীক্ষার্থী সকলে বনগ্রাম হাকিমিয়া হাবিবিয়া পাউসপাক মহিলা দাখিল মাদ্রাসার পরীক্ষার্থীদের প্রক্সি পরীক্ষা দিচ্ছিল। আর ওই মাদ্রাসার সুপার মো. সোলাইমন এবং সহকারী মৌলভী মো. সাদেকুর রহমান যোগসাজশ করে অন্য একটি মাদ্রাসার ৬ শিক্ষার্থীকে ভুয়া পরীক্ষার্থী সাজিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়।
ভুয়া পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের সুযোগ করে দেওয়ার অপরাধে ও অভিযুক্তগণ তাদের অপরাধ স্বীকার করায় মাদ্রাসার সুপার মো. সোলাইমনকে ছয় মাসের ও সহকারী মৌলভী মো. সাদেকুর রহমান তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন ভ্রাম্যমান আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খানজাদা শাহরিয়ার বিন মান্নান জানান, ভুয়া ৬ পরীক্ষার্থী অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের মুচলেকা নিয়ে কেন্দ্রসচিবের জিম্মায় দেওয়া হয় এবং আসল পরীক্ষার্থীদের বহিস্কার করা হয়। কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামীদ্বয়কে কিশোরগঞ্জ জেল কারাগারে পাঠানো হয়েছে।