বিমানবন্দরের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ছাদখোলা বাসে করে বাফুফে ভবনের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন চ্যাম্পিয়ন নারী ফুটবলাররা।
বুধবার বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে বাফুফে ভবনের উদ্দেশে রওনা হন চ্যাম্পিয়নরা। যার ফলে ছাদখোলা বাসের আক্ষেপ মিটলো সানজিদাদের।
এর আহে দুপুর দুইটার একটু আগে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ইতিহাস গড়া সাফল্য নিয়ে বাংলাদেশ দল কাঠমান্ডু থেকে ঢাকায় পা রাখে। যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, বাফুফের সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ ও অন্য কর্তারা বরণ করে নেন সাবিনা-মারিয়া-কৃষ্ণাদের।
বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে শুরুতেই কেক কাটা হয়। ক্রীড়ামন্ত্রী কেক তুলে দেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের মুখে। শিরোপাজয়ী অধিনায়কই শুধু নন, তিনি টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় ও সর্বোচ্চ গোল স্কোরারও। কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনকেও কেক খাইয়ে দেওয়া হয়। সেই পর্ব চলে বেশ কিছুক্ষণ ধরে।
ক্রীড়ামন্ত্রী এরপর একে একে দলের প্রত্যেক খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফের গলায় পরিয়ে দেন ফুলের মালা। একটু পর দুহাতে ট্রফি উঁচিয়ে চওড়া হাসিতে এগিয়ে যান অধিনায়ক সাবিনা। তাকে অনুসরণ করেন গোটা দল।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) কাঠমান্ডু দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে সাফ ফাইনালে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয় সাবিনারা।
দেশের ফুটবলে ১৯ বছরের ট্রফি খরা ঘুচিয়ে প্রথমবার সাফের শিরোপা জয়ী অদম্য মেয়েদের এমন গৌরবময় অর্জনকে স্বীকৃতি জানাতে ইতোমধ্যে রাজসিক সংবর্ধনার ব্যবস্থা করেছে বাফুফে ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
এদিকে নারী ফুটবলারদের এই অনন্য অর্জনে অর্ধকোটি টাকা উপহার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বিমানবন্দরে ফুল দিয়ে ও মিষ্টিমুখ করিয়ে নারী ফুটবলাদের বরণ করে নেবেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির একটি অংশ। এরপর ছাদখোলা বাসে উঠে বিমানবন্দর থেকে বাফুফে ভবনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন ফুটবলাররা।
নারী দলের ট্রফি যাত্রার সম্ভাব্য রুট ধরা হয়েছে বিমানবন্দর থেকে কাকলী, জাহাঙ্গীর গেট, বিজয় সরণী, তেজগাঁও, কাকরাইল, মতিঝিল ও আরামবাগ হয়ে বাফুফে ভবন। সেখানে সানজিদাদের আরেক দফায় বরণ করা হবে। এরপর নারী দলের সঙ্গে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন সাফ জয়ের অভিযান নিয়ে আলাপচারিতা করবেন।