উচ্চশিক্ষা লাভ করে হাজার হাজার যুবক-যুবতী বেকার থাকলেও কারিগরি শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে কেউ বেকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
আজ শুক্রবার স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্টের সহযোগিতায় ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে দিনব্যাপী জব ফেয়ার-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, কারিগরি শিক্ষা যুবসমাজের চাকরি ও আত্মকর্মসংস্থানের অপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি করছে। যুবক-যুবতীরা পাস করার সঙ্গে সঙ্গে চাকরি পায়। দক্ষতা অর্জন করতে পারলে তাদের চাকরি খুঁজতে হবে না, চাকরিই তাদের খুঁজে বের করবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার কারিগরি শিক্ষায় যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে। ২০০৮ সালে যেখানে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থী ভর্তির হার ছিল ১ দশমিক ২ শতাংশ, বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ। ২০২০ সালের মধ্যে এ হার ২০ শতাংশে উন্নীত করা হবে।
নাহিদ বলেন, ২৩টি আন্তর্জাতিক মানের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে নতুন কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হচ্ছে। বিদ্যমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে নতুন আরো এক লাখ শিক্ষার্থী ভর্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কারিগরি খাতে আগে কোনো প্রকল্প ছিল না। এ সরকারের সময়েই কারিগরি খাতে পাঁচটি বড় উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
জব ফেয়ারে স্যামসাং বাংলাদেশ, জবস্ বিডি, প্রাণ গ্রুপ, আরএফএল গ্রুপ, ওয়ালটন, ট্রান্সকম ইলেকট্রনিকস লিমিটেড, স্পেকট্রাম, রাশেদুল হাসান অ্যাসোসিয়েটস, টেকনোক্রেসি, এশিয়ান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, বেঙ্গল সায়েন্টিফিক লিমিটেড, রেইনবো অটোমেশন, সততা আর্কিটেকচার ফর গ্রিন লিভিং, ত্রিমাত্রা, পান্থনীড়, ইউনাইটেড কনসালট্যান্টসহ ৩০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/01-04-2016/মইনুল হোসেন