বাংলাদেশের আকাশে সোমবার কোথাও পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তাই আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর বুধবার থেকে পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস গণনা শুরু হবে। এই হিসাবে ১২ রবিউল আওয়াল অর্থাৎ ৯ অক্টোবর রোববার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) পালিত হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররমের সভাকক্ষে সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মুনিম হাসান।
সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মো. মুশফিকুর রহমান, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহেনুর মিয়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. নজরুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব মো. ছাইফুল ইসলাম, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী হাফিজুল আমিন, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সহকারী- পরিচালক (প্রশাসন) মো. নাজিম উদ্দিন, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, সরকারী মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আবদুর রশীদ, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান ও লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতী মুহাম্মদ নেয়ামতুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) ইসলাম ধর্মের সর্বশেষ নবি ও রাসুল। তার জন্ম ও ওফাতের পুণ্যময় দিন ১২ রবিউল আউয়াল। সৌদি আরবের মক্কা নগরে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে মহানবি হজরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন। ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের একই দিনে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন।
বাংলাদেশে দিনটি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) নামে পালিত হয়। এদিন সরকারি ছুটি থাকে। দিনটিকে অশেষ পুণ্যময় বিবেচনা করেন বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বিশেষ বাণী দেন। এই দিন পালনের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে।