রাজনৈতিক দলের মিছিল-মিটিংসহ কোনো প্রকার সমাবেশে লাঠিসোঁটা বা দেশীয় অস্ত্র আনা যাবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এ কে এম হাফিজ আক্তার। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি বেশ কয়েক জায়গায় লাঠিসোঁটা কেন্দ্রিক সমস্যা হচ্ছে। তাই লাঠিসোঁটা নেওয়া যাবে না। কারণ কে কোন উদ্দেশ্যে লাঠিসোঁটা নিয়ে আসছে তা তো বলা যায় না। এসব প্রোগ্রামে পুলিশ ফোর্সও থাকে।’
হাফিজ আক্তার বলেন, ‘রাজনৈতিক সমাবেশে কারো ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে। এছাড়া রাজনৈতিক কর্মসূচি ছাড়াও অনেক সাধারণ মানুষও থাকে দিন রাত নানা কাজ করেন। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি তো থাকেই। তাদের কাজ যেন কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত না হয়। তাই রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচিতে লাঠি আনার কোনো প্রয়োজন নেই। তারা সমাবেশ করবে, চলে যাবে। নিরাপত্তার স্বার্থে লাঠিসোঁটা নেওয়া যাবে না। এটা পুলিশের জন্য হুমকি স্বরূপ।’
সম্প্রতি রাজনৈতিক সহিংসতা ও হত্যা বাড়ছে। ঢাকায় বিএনপি-আওয়ামী লীগ, ছাত্রদল-ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষকে লাঠি-রড নিয়ে নামতে দেখা যাচ্ছে। এটা কতটুকু নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করছে? এমন প্রশ্নের জবাবে হাফিজ আক্তার বলেন, ‘ডিএমপির পক্ষ থেকে সব ডিসিকে বলা হয়েছে, কোনো সভা-সমাবেশে লাঠিসোঁটা ও পতাকা যেন আনা না হয়। কারণ জাতীয় পতাকা যদি কোথাও পড়ে যায় তবে পতাকার অবমাননা হয়।’
বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, ‘সভা-সমাবেশের জন্য অনুমতি চাইলেও ডিএমপি অনুমতি দেয় না। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ আওয়ামী লীগের পক্ষ নিয়ে থাকে এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, এ ধরনের অভিযোগ আমরা পাইনি। আমরা রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক গ্রোগ্রামের অনুমতি দিচ্ছি। আমরা যদি মনে করি, ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে তাহলে লোকাল ডিসি মতামত দেন। দেখা গেল, কোনো এক জায়গায় একাধিক সংস্থা বা দল সমাবেশ ও সভার অনুমতির আবেদন করলে আমরা নাগরিক সুরক্ষার জন্য এর অনুমতি বা অনুমোদন দেই না।’
তিনি বলেন, ‘প্রায় সব প্রোগ্রামেই পুলিশ নীরব থাকে। তবে দুই-একটি ঘটনা ঘটেছে। প্রোগ্রাম কিন্তু প্রতিনিয়তই হচ্ছে।’