৯০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সৌদি আরব, কাতার ও দেশীয় একটি প্রতিষ্ঠান থেকে এ সার কেনা হবে। এতে খরচ ধরা হয়েছে ৫৯৮ কোটি ৫৭ লাখ ৫৪ হাজার ৭৪০ টাকা। এ ছাড়া ৩০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক এসিড কেনার অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। এ ফসফরিক এসিড কিনতে খরচ ধরা হয়েছে ২৩৩ কোটি ৮২ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
আজ বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সভার সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল বারিক।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল বারিক জানান, অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ছয়টি প্রস্তাব পাস হয়েছে। এ প্রস্তাবগুলোর মোট অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ২৭ কোটি ৯৯ লাখ ৫৫ হাজার ২১৬ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ৩৭৮ কোটি ১৮ লাখ ৭৭ হাজার ৪৪৭ টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক ও বৈদেশিক ঋণ ৬৪৯ কোটি ৮০ লাখ ৭৭ হাজার ৭৬৯ টাকা।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জানান, সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) মাধ্যমে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (কাফকো) কাছ থেকে ষষ্ঠ লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১৯৭ কোটি ৪৬ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫০ টাকায় কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মো. আব্দুল বারিক জানান, এ ছাড়া বিসিআইসির মাধ্যমে কাতারের মুনতাজাত থেকে ষষ্ঠ লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ২০০ কোটি ৫৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪৯৫ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিসিআইসির মাধ্যমে সৌদি আরবের সেবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্ট কোম্পানি থেকে নবম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ২০০ কোটি ৫৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪৯৫ টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
মো. বারিক জানান, বৈঠকে বিসিআইসির মাধ্যমে ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএপিএফসিএল) জন্য ৩০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক এসিড ২৩৩ কোটি ৮২ লাখ ৩০ হাজার টাকায় আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।