চিহ্নিত চার রাজাকারের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) বিলুপ্ত ও অবিলম্বে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে কিশোরগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধারা।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ভূপাল চন্দ্র নন্দী।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার রশিদাবাদ গ্রামের মো. রফিক, পাড়া পরমানন্দ গ্রামের মো. মহরম আলী মোল্লা, জালুয়াপাড়া গ্রামের মো. আজিম উদ্দিন ও নীলগঞ্জ গ্রামের মৃত সুলতান আহম্মদ সেনা- এ চারজন ‘চিহ্নিত রাজাকার’। মুক্তিযুদ্ধের সময় রণক্ষেত্রে এই রাজাকারদের আটক করেছিল বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, যাচাই বাছাইয়ের সময় উপযুক্ত প্রমাণসহ জামুকা ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রীর কাছে এ চারজনের বিষয়ে কাগজ পাঠানো হলেও তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে তারা বলেন, এতে করে মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবমাননা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জামুকাসহ বিভিন্ন কার্যালয়ে বারবার প্রমাণাদিসহ লিখিত অভিযোগ করা পরও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক উপজেলা কমান্ডার ভূপাল নন্দী বলেন, জামুকার প্রতি এখন আর মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো আস্থা নেই।
জামুকাকে তিনি জাল মুক্তিযোদ্ধা তৈরির কারখানা হিসেবে আখ্যায়িত করে অবিলম্বে জামুকাকে বিলুপ্ত করার দাবি জানান। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে শৃঙ্খলা ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে অবিলম্বে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনেরও দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার এ. বি সিদ্দিক, সদর উপজেলা কমান্ডের সাবেক সাংগঠনিক কমান্ডার আজিম উদ্দিন, সাবেক সহকারী কমান্ডার নূরুল হকসহ প্রায় ৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন।