তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘গাইবান্ধায় উপনির্বাচন বাতিল করার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে, নির্বাচন সবসময় নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হয়। কমিশনের সিদ্ধান্তই সবার ওপরে। এ ছাড়া বিএনপির দাবি অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো প্রয়োজন নেই, কমিশনের এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে এটিও প্রমাণিত হয়েছে।’ আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সিইসি ৫০০ কিলোমিটার দূরে বসে ভোটবন্ধের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাতে জনগণ হতাশ হয়েছে। কারণ এ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয়েছে। যে কারণে সিইসির নির্বাচন বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রশ্নবোধক। এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ইসি নিজেদের বিতর্কিত করেছে।’
তিনি বলেন, ‘কোনো সহিংসতা ছাড়া, কোনো প্রিসাইডিং বা পোলিং অফিসারের পক্ষ থেকে অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও কমিশনের এই সিদ্ধান্তে সাধারণ জনগণ ও গাইবান্ধার ভোটাররা হতবাক হয়েছে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণিত বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ যেসব ফর্মূলা দিয়েছে, তার কোনো ভিত্তি নেই।’
এদিকে চট্টগ্রামে বিএনপির বিভাগীয় সম্মেলন নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ওই সম্মেলনে জনগণ সাড়া দেয়নি, তাদের কর্মীরাও উপস্থিত হয়নি। এতে বোঝা যায় বিএনপির ওপর তাদের কর্মীরাও আস্থা রাখে না।’
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামের পলো গ্রাউন্ডের মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সম্মেলনে মাঠের এক-তৃতীয়াংশ পূর্ণ হয়নি। এমনকি তাদের কর্মীরাও আসেনি। তাদের প্রতি কর্মীদের আস্থা নেই। যে নেতারা আদালতে বোরকা পরে আসে, তাদের ওপর কর্মীরা আস্থা রাখবে না।’
এর আগে গতকাল বুধবার ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ বিপুল ভোটে আবার জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় বিএনপি এবং দেশবিরোধীদের বিভিন্ন অপপ্রচার মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।