muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

মন্ত্রীর কাছে সুপেয় পানির অভাবের কথা জানালেন ফুটবলার ঋতুপর্ণা

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিংয়ের কাছে নিজের এলাকায় সুপেয় পানীয় জলের অভাবের কথা জানিয়েছেন সাফ উইমেন চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী ঋতুপর্ণা চাকমা। এছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থার দুরাবস্থার কথা তুলে ধরেন তিনি। সেখানে উন্নয়ন কাজ চলমান আছে বলে এসময় জানান মন্ত্রী।

সাফ উইমেন চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী পার্বত্য তিন জেলার পাঁচ ফুটবলার ও তাদের সহকারী কোচকে সংবর্ধনা দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এসময় ঋতুপর্ণা মন্ত্রীর কাছে এ দাবির কথা জানান।

অনুষ্ঠানে ফুটবলার রুপনা চাকমা, মনিকা চাকমা, আনাই মগিনি, ঋতুপর্ণা চাকমা, আনুচিং মগিনি এবং সহকারী কোচ তৃষ্ণা চাকমার হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হামিদা বেগম এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমা বলেন, আমরা প্রিয় বিদ্যালয়টি সরকারিকরণে আবেদন করছি। প্রত্যেক বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ এবং প্রত্যেক উপজেলায় বঙ্গমাতার নামে স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য আপনাদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর আবেদন রাখছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা দেশের স্বার্থে জীবন দিতেও প্রস্তুত আছি। এগিয়ে যাওয়ার আশ্বাস আমরা দিচ্ছি।

জবাবে মন্ত্রী বলেন, রাস্তাঘাট-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উন্নয়নের কাজ চলমান আছে। সেগুলো চলবে। পার্বত্য ৩ জেলায় তালিকা চাওয়া হয়েছে। যেখানে সরকারি স্কুল নেই এমন ১৪০টি স্কুলের তালিকা আমরা করছি। তালিকা করে প্রধানমন্ত্রীকে দেব। সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি করা হবে। পার্বত্য তিন জেলায় ফুটবল প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। এরপর তিন জেলায় টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হবে।

‘এরপর খেলোয়াড় বাছাই করে তাদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। যাতে তারা জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দিতে পারে। এ বিষয়ে পদক্ষেপ আমরা নেব’ -বলেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী উশৈসিং বলেন, এ ফুটবলারদের নামে পৃথিবীর মানুষ পার্বত্য চট্টগ্রামকে চিনবে। তাদের জন্য যা যা করার আমরা করব।

এ সময়ে মন্ত্রী যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, তিন পার্বত্য জেলায় বিকেএসপির আদলে প্রতিষ্ঠান কিংবা ফুটবল বা ক্রীড়া একডেমি করা যায় কি না- তা বিবেচনায় করা যেতে পারে। পার্বত্য এলাকার মানুষের স্ট্যামিনা আছে। এটাকে কাজে লাগানো যেতে পারে।

Tags: