লক্ষ্মীপুরে দুটি হত্যা মামলার একটিতে একজনকে যাবজ্জীবন ও অপরটিতে চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে ১ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার দুপরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন দেলোয়ার হোসেন, মোবারক হোসেন, মাহমুদুল হাসান হিরু, আরাফাত আরেফিন ও বাবুল হোসেন। এর মধ্যে মাহমুদুল হাসান হিরু পলাতক রয়েছে। অন্য আসামিরা আদালতে হাজির ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৫ জুন সেপটিক ট্যাংক থেকে মাকছুদুর রহমান নামের ক্লাবের টি-বয়ের অর্ধগলিত মরহেদ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহের শরীরে কোনো পোশাক ছিল না। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৪ থেকে ৫ জনকে আসামি করে কমলনগর থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই বেল্লাল হোসেন। পরে পুলিশ ৫ জনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে মামলার ১ নম্বর আসামি শরীফ হোসেন মারা যান।
অন্য মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৩ জুন চন্দ্রগঞ্জের কুশাখালী ইউনিয়নের শামছুন্নাহার নামের এক গৃহবধূকে গলাটিপে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার স্বামী দেলোয়ারকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ। আজ আদালত শামছুন্নাহারের স্বামী দেলোয়ারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘কমলনগরে মুক্তিযোদ্ধা ক্লাবের টি-বয় মাকছুদুর রহমানকে হত্যার ঘটনায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলার আসামি মাহমুদুল হাসান হিরু পলাতক রয়েছেন। বাকি তিনজন রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর মামলায় স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যার দায়ে দেলোয়ার হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ের সময় দেলোয়ার আদালতে উপস্থিত ছিলেন।’