ধর্মঘটে কেন বাস বন্ধ হয়, সে ব্যাপারে কোনো ধারণা নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মাদ মজুমদার। আজ শুক্রবার রাজধানীর বনানীতে নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে বিআরটিএ প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
আগামীকাল শনিবার দক্ষিণের জেলা খুলনায় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে বাস বন্ধ রয়েছে। এর আগে ময়মনসিংহের সমাবেশেও একই ঘটনা ঘটে। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ লোকজনকে।
এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘অফিসিয়ালি আমরা জানি না, কোনো চিঠি পাইনি। পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা কখন ধর্মঘট করে আমরা জানি না।’
এ সময়ে ঢাকায় নিরাপদ সড়কের গুরুত্ব তুলে ধরে বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘সবাইকে আইন মেনে চলতে হবে, আমাদের যে জনবল রয়েছে দেশের ১৭ কোটি মানুষের জন্যে যথেষ্ট নয়। আমরা সবাই যদি আইন মেনে চলি, তাহলে কোনো জনবলেরই দরকার হয় না। আইন মেনে যদি সড়কে চলি, তাহলে কোনো দুর্ঘটনা ঘটবে না। আইন না মানলে শাস্তির আওতায় আনছি। আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটরা পদক্ষেপ নিচ্ছেন, জেলা-উপজেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা পদক্ষেপ নিচ্ছেন, হাইওয়ে পুলিশ রয়েছে।’
সড়ককে নিরাপদ করতে মালিক সমিতির দায়িত্ব রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘শ্রমিক সংগঠনেরও দায়িত্ব রয়েছে। সড়ক বিভাগেরও দায়িত্ব রয়েছে, ত্রুটিপূর্ণ রাস্তা ত্রুটিমুক্ত করতে। পথচারী ও যাত্রীদের দায়িত্ব রয়েছে। সব স্টেকহোল্ডার যদি ইতিবাচক না হয়, তাহলে গণপরিবহনে সফলতা আনা কঠিন।’
আগামীকাল শনিবার জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস। এ উপলক্ষে ঢাকার চারটি স্থানে (মৎস্য ভবন মোড়, সাইন্সল্যাব মোড়, বাংলামোটর মোড়, মালিবাগ চৌধুরীপাড়া আবুল হোটেল সংলগ্ন মোড় এলাকা) জনসচেতনতামূলক রোড শো পরিচালনা করা হবে। এ কর্মসূচিতে বিআরটিএ’র পাশাপাশি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), নিরাপদ সড়ক চাই, ব্র্যাক, রেড ক্রিসেন্ট ও স্কাউট সদস্যরা অংশ নেবে।
এ ছাড়া জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যথাক্রমে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২২ র্যালি, আলোচনা সভা এবং সপ্তাহব্যাপী জনসচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে।