কর ফাঁকি দিয়ে আমদানি করা ৩৭ হাজার বোতল বিদেশি মদ ধ্বংস করেছে র্যাপিড অ্যাকশ ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। আজ বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অবস্থিত র্যাব-১১-এর সদর দপ্তরে এ মদগুলো ধ্বংস করা হয়।
মদ ধ্বংস করার সময় উপস্থিত ছিলেন র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি), অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক নারায়ণগঞ্জ জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারহানা ফেরদৌস, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট এবং জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের (প্রসিকিউশন) উপস্থিতিতে মদগুলো ধ্বংস করা হয়।
এ সময় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের ডিজি এম খুরশীদ হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। সেই জিরো টলারেন্সকে সামনে রেখেই র্যাব মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর ভূমিকা পালন করে আসছে। কোনো মাদক ব্যবসায়ীকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।’
এম খুরশীদ হোসেন বলেন, ‘প্রত্যেকটি সেক্টরে মাদকের প্রভাব পড়ছে। মাদকে মাদকের ভয়াবহ ছোবল থেকে রক্ষা করতে আইন-শৃংখলা বাহিনীর অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি সমাজের সবাইকে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। পরিবার, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের সব স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশ হতে মাদক নির্মূল সম্ভব।’
মদ ধ্বংসের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা, নারায়ণগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরান মোল্লা, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শামসুর রহমান, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নূর মোহসিন, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রসিকিউশন) শাওন শায়লা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান।
এর আগে গত ২৩ জুলাই র্যাবের অভিযানে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবৈধভাবে আমদানি করা দুই কন্টেইনার মদ জব্দ করা হয়। এতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৩৬ হাজার ৮১৬ বোতল বিদেশি মদ ছিল। জব্দকৃত মদের মূল্য প্রায় ৩৭ কোটি টাকা।
অতপর এই অবৈধ চালান আমদানির সঙ্গে জড়িতদের ধরতে ঢাকার ওয়ারির বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশি এবং বিদেশি মুদ্রা জব্দ করা হয়। অভিযানে মো. নাজমুল মোল্লা (২৩) ও মো. সাইফুল ইসলাম সাইফুলকে (৩৪) গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর গত ২৪ জুলাই সকালে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে এই চক্রের অন্যতম হোতা আব্দুল আহাদকে (২২) গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা মাদক আমাদানি ও বিপণনের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে নিজেদের জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকার করেন।