সুপার টুয়েলভে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়ে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করলো পাকিস্তান।
সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে পাকিস্তানকে ১২৮ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ। এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান সংগ্রহ করে টিম টাইগার। ব্যাট করতে নেমে সূচনাটা ভালোই ছিলো বাংলাদেশের। বিশেষ করে বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ব্যাটিং শুরু করেন লিটন দাস। নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গে নিয়ে ২১ রানের জুটি গড়ে ফেলেন তিনি।
কিন্তু শাহিন শাহ আফ্রিদির বাইরের দিকে বেরিয়ে যাওয়া বলটিকে এক পা এগিয়ে এসে খেলার চেষ্টা করেন লিটন। কিন্তু বল চলে যায় থার্ডম্যান অঞ্চলে শান মাসুদের হাতে। ফলে ৮ বলে ১০ রান করে বিদায় নেন তিনি।
লিটনের আউটের পর সৌম্যকে সাথে নিয়ে দশ ওভারে দলীয় ৭০ রান তুলে ফেলেন শান্ত। তবে সে সুসময়টা বেশিক্ষণ টিকলো না। ইনিংসের ১১তম ওভারে শাদাব খান সৌম্য সরকারের পর সাকিব আল হাসানকে পরপর দুই বলে ফেরালেন। তাতেই বাংলাদেশ বেশ বিপাকে পড়ে যায়।
সাকিব সাজঘরে ফিরলেও ফিফটির দেখা পেয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আউট হওয়ার আগে ৪৮ বলে খেলেন ৫৪ রানের ইনিংস।
এরপরই শুরু হয় টাইগার ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিল। মিডল অর্ডার ব্যাটার মোসাদ্দেক হোসেন (৫), নুরুল হাসান সোহান (০) কেউই পারেননি ইনিংস মেরামত করতে। উল্টো দলকে বিপদে ফেলে ফিরেছেন প্যাভিলিয়নে।
আরেক মিডল অর্ডার ব্যাটার আফিফ হোসেন এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন। লো অর্ডার ব্যাটার তাসকিন আহমেদ এদিন রান পাননি, ফিরেছেন ১ রানে। পরবর্তীতে অবশ্য নাসুমকে সঙ্গে নিয়ে আগাতে থাকেন আফিফ। তবে ব্যক্তিগত ৭ রানে আবার ফিরে যান নাসুম। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেটে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ১২৭ রান।
বাংলাদেশের দেয়া ১২৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ১০ ওভারে বিনা উইকেটে ৫৬ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। রিজওয়ান ২৮ বলে ৩১, বাবর আজম ৩২ বলে ২৫। মজবুত এটা ভিত্তি তৈরির পরই সাজঘরে ফেরেন বাবর আজম ও রিজওয়ান।
এরপর লিটন দাসের সরাসরি থ্রো-তে রানআউট হন মোহাম্মদ নওয়াজ। তারপর বাকি কাজটুকু সারেন শান মাসুদ ও মোহাম্মদ হারিস। যদিও শেষ দিকে এসে বিদায় নেন হারিস ও ইফতিখার আহমেদ। তবে বাকি কাজটা সারতে খুব বেশি কষ্ট করতে হয়নি পাকিস্তানকে।