জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে কথিত হিজরতে ঘরছাড়া ৫৫ তরুণ দেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনো তাদের অবস্থান শনাক্ত করতে পারেনি।
বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এমনটি বলেছেন।
সম্প্রতি র্যাবের পক্ষ থেকে ১৯ জেলা থেকে নিখোঁজ ৫৫ তরুণের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। তাদের মধ্যে ৩৮ তরুণের নাম-পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাদের খুঁজে বের না করা পর্যন্ত ‘হুমকি’ বলছে বাহিনীটি।
র্যাব মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘আমরা যে ৫৫ জনের তালিকা দিয়েছি সেখান থেকে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে পার্বত্য চট্রগ্রাম অঞ্চলের দুটি ক্যাম্পে অভিযান পরিচালনার করে বিপুল পরিমাণ গোলারুদসহ ১০ জনকে আইনের আওতায় আনা হয়। বাড়িছাড়া ৫৫ তরুণ একসঙ্গে থাকার কথা নয়, তারা বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থান করার কথা। তবে আমাদের অভিযান টের পেয়ে হয়ত তারা ক্যাম্প দুটি থেকে আত্মগোপনে চলে গেছে। তাদের খুঁজে বের না করা পর্যন্ত এক প্রকার হুমকি রয়েছে।’
এদিকে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র অন্যতম অর্থ সরবরাহকারী দুই সদস্যসহ ৩ জনকে মঙ্গলবার রাতে নারায়নগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে মঈন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কুমিল্লা থেকে বেশ কয়েকজন তরুণ উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয়। র্যাবের গোয়েন্দা শাখার একটি দল তাদের মধ্যে ৪ তরুণকে উদ্ধার করে ডি-র্যাডিক্যালাইজড করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়। কুমিল্লা থেকে নিখোঁজ এক তরুণ নিজ বাড়িতে ফিরে আসে। এরপর ৫ অভিযানে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নতুন তিন জঙ্গি গ্রেপ্তার:
মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র অন্যতম অর্থ সরবরাহকারী আব্দুল হাদি ওরফে সুমন ওরফে জন ও আবু সাঈদ ওরফে শের মোহাম্মদ এবং দাওয়াতী কার্যক্রমে জড়িত রনি মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। জব্দ করা হয় তিনটি উগ্রবাদী বই, নয়টি লিফলেট এবং ২টি ব্যাগ।