জ্বালানি নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো কথা হয়নি। ব্রুনাই থেকে দীর্ঘমেয়াদে গ্যাস আনতে প্রতিনিধিদল পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর বারিধারায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ বলেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্রুনাইয়ে টিম পাঠাচ্ছি। দীর্ঘমেদী গ্যাস কীভাবে নিয়ে আসা যায়। তাদের নিমন্ত্রণের অপেক্ষায় আছি। এখন তো সব জায়গাতেই সংকট। যে যেভাবে পাচ্ছে সেভাবেই নেয়ার চেষ্টা করছে। সেখানে যাওয়ার প্রস্তুতিও শেষ হয়েছে। আমাদের কি প্রয়োজন জানিয়েছি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, গতকাল সৌদি অ্যাম্বাসেডরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, তাদের মন্ত্রী আসছেন। ২০২৮-২৯ সালের দিকে সৌদি আরব থেকে গ্যাস নিতে পারবো। আমাদের এখানে সোলারের ক্ষেত্রে বড় বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গ্যাস মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যাপারেও কথা হয়েছে। তারা সোলারের ক্ষেত্রে ১০০০ মেগাওয়াট এমওইউ করার করা জানিয়েছে।
জ্বালানি মন্ত্রণালয় সম্পর্কে আইএমএফের কোনো কথা হয়নি। বিদ্যুতের অবস্থা ভালো আছে। খুব ভালো না হলেও ভালোর দিকে যাচ্ছে। কিন্তু বিদ্যুতের দাম অনেক বেশি। আরও পড়ুন: সৌদি থেকে সহনীয় মূল্যে জ্বালানি তেল ও এলএনজি চায় সরকার
আগামী বছর ১০০-১১০ এমএমসি গ্যাস পাবো। পাওয়ারের রিকোরমেন্ট ১০ শতাংশ বাড়বে।
এদিকে সমুদ্র থেকে গ্যাস পাওয়ার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাগর থেকে গ্যাস তোলার জন্য দুবার টেন্ডার দেয়া হয়েছে। ডিসেম্বর জানুয়ারিতে আবারও এখানে টেন্ডার দেয়া হবে। সাগর থেকে গ্যাস তোলা কষ্টসাধ্য। বিনিয়োগ করেও সফলতা পাওয়ার শতভাগ সম্ভাবনা থাকে না। বাপেক্সকে দিয়ে এটা করা যাবে না। তবে বাপেক্স বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে কাজ করতে পারে।